মোদীর ভারত রাজনীতি-ধর্ম ছাড়া বাঁচতে শিখেছে এই লকডাউনে, বলছেন বিজ্ঞানী
মোদীর ভারত রাজনীতি-ধর্ম ছাড়া বাঁচতে শিখেছে এই লকডাউনে, বলছেন বিজ্ঞানী
দেশ রাজনীতি ও ধর্ম ছাড়া বাঁচতে শিখেছে। এই করোনা পরিস্থিতিতে দেশকে তা শিখিয়েছে লকডাউন। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশজুড়ে যে লকডাউন চলছে, তার জেরে দেশে রাজনীতি বন্ধ, বন্ধ ধর্মীয় বিভাজন। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী জি মাধবন নায়ার এমনই এক বার্তা দিলেন বর্তমান লকডাউন পিরিয়ডে।
দেশের পক্ষে একটি দুর্দান্ত অর্জন
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পর্যবেক্ষণ করেছেন দেশের এই পরিবর্তন। তিনি বলেন, এটি দেশের পক্ষে একটি দুর্দান্ত অর্জন। প্রতিটি নির্বাচনের পরে যদি এই রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা যায়, তবে তার থেকে ভালো আর হয় না। সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সরিয়ে রেখে প্রত্যেকের উচিত দেশ গঠনে মনোনিবেশ করা।
করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী
তিনি করোনা ভাইরাস নিয়ে বলেন, আসলে এই ভাইরাসগুলি পৃথিবীতে সুপ্ত থাকে। অনুকূল পরিস্থিতি এলে তারা ভাসতে শুরু করে। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা বলেই তাঁর ব্যাখ্যা। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার লড়াইয়ে ভারতীয়রা ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক রং ছাড়াই একত্রিত হয়ে তাদের ঐক্যের পরিচয় দিচ্ছে।
জাতি গঠনে একই পন্থা অবলম্বন করা উচিত
তাঁর কথায়, জাতি গঠনে একই পন্থা অবলম্বন করা উচিত। নায়ার বলেন, এই বিস্তারকে থামানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ধারা বজায় রাখতে হবে। কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এর আগে সমস্ত তহবিল মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ফাঁস হয়ে যেত এবং এটি জনগণের কাছে পৌঁছত না। এই প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীদের ছেঁটে ফেলা দেশের জন্য ভালে পদক্ষেপ।
ভারতের দেশীয় বাজারকে কাজে লাগাতে হবে
তিনি বলেন, ভারতের বিশাল দেশীয় বাজার রয়েছে। তা সহজলভ্য করে তুলতে হবে। এর আগে আদিবাসীকরণ প্রোগ্রামকে জোর দিয়েছিল সরকার। তারপর তা কিছদিন থমকে রয়েছে। এখন এই প্রক্রিয়ায় আবার জোর দিতে হবে। এখন ভারতীয় শিল্প ও গবেষণা পরীক্ষাগারগুলিকে জাকিয়ে তোলার এবং আদিবাসীকরণ অভিযানকে একটি বড় ধাক্কা দেওয়ার সময় এসেছে।