
জাপানে মোদী, চিনকে টক্কর দিতে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে যোগ ভারতের
চিনের সঙ্গে ভারতের সব দিক থেকে লড়াই চলছে। সবথেকে বড় সমস্যা চলে সীমান্তে। সেখানে চিন সব সময়েই ভারতের কার্যত পিছনে পড়ে থাকে। তার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ প্যাংগং লেকের দুই ধারে ব্রিজ তৈরি করা। এর অর্থ স্পষ্ট। সীমান্তে ভারতের উপর চাপ তৈরি করা। পাশাপাশি অর্থনৈতিক লড়াই তো রয়েইছে। আর সব লড়াইয়ের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে একটি দেশ অর্থনৈতিক ভাবে কতটা শক্ত তার উপর। ঠিক সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে যোগ দিল ভারত , যা নেতৃত্ব দেয় বাইডেনের আমেরিকা।

কবে যোগ দিল ভারত ?
২৩ মে, সোমবার ভারত, জাপানে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটিতে যোগদান করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন জাপানের টোকিওতে ট্রেড পার্টনারশিপে সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন, সেখানেই জাপানে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটিতে যোগদান করেন।

আইপিইএফ কী এবং কীভাবে চালু হয়েছিল ?
আইপিইএফ টোকিওতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের মাধ্যমে চালু হয়েছিল। প্রাথমিক অংশীদার হিসাবে ছিল এক ডজন দেশ। সেই তালিকায় এল ভারত। এছাড়া রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। ১৩টি দেশ মিলে বিশ্বের জিডিপির ৪০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করবে।

এর লক্ষ্য কী ?
ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে এই দেশগুলি একজোট হয়েছে। আর সেটাই ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটির প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে।

মার্কিন বাণিজ্য সচিব কী বলেছেন ?
মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো সাংবাদিকদের বলেছেন, "এটি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সমস্যা যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলে ছিল এবং এর সূচনা হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে মার্কিন অর্থনৈতিক নেতৃত্ব পুনরুদ্ধার হবে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলিকে এক জোটে এই লড়াই করতে পারবে বলে আমাদের মনে হয়৷ এই জটিল বিষয়ে চিনের দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে লড়তে এটাই সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি বলে আমরা সবাই মনে করছি। "

কী বলেছেন মোদী ?
"ভারত একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্বাস করে যে অংশীদারদের মধ্যে অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি হবে এর ফলে। পাশাপাশি এটি দেশেগুলির মধ্যে শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ ভারত আইপিইএফের অধীনে অংশীদার দেশগুলির সাথে সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং অগ্রগতির দিকে কাজ করতে আগ্রহী। এই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোও এর উদ্দেশ্য"।