চিনের রক্তচাপ বাড়িয়ে ভারতীয় মহাসাগরে নৌসেনার যৌথ মহড়া! বেজিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লির পাশে জাপান
এবার চিনকে নিজেদের সামরিক ক্ষমতা ও পেশি দর্শনের পথ অবলম্বন করল ভারত। জাপানের সঙ্গে মিলে ভারতীয় মহসাগরে যৌথ মহড়া দেয় দুই দেশের নৌবাহিনী। দক্ষিণ চিনের খুব কাছেই দুই দেশের এই নৌবাহিনীর মহড়া নিশ্চিত ভাবে রক্তচাপ বাড়িয়েছে চিনের। লাদাখ নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই চিনকে চাপে রাখতে ভারতের এই যৌথ মহড় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারত-জাপান বন্ধুত্ব
এদিন ভারতের তরফে আইএনএস রানা, আইএনএস কুলিশ ও জাপানের তরফে জেএস কাশিমা ও জেএস শিমায়ুকি। এই মহড়াতে অংশগ্রহণ করে। ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই যৌথ মহড়ার ছবি পোস্ট করে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার পেশ করেন।
বাড়ছে চিনের রক্তচাপ
ভারত দক্ষিণ চিন সাগর বা ভারতীয় মহাসাগর এলাকায় নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করলে তা চিনের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চিন ইতিমধ্যেই সমুদ্র সীমানার দিক দিয়ে ভারতকে ঘিরে রেখেছে। শ্রীলঙ্কায় যেমন একটি বন্দর চিনের হাতের মুঠোয়। তেমনই পাকিস্তানের গাদাওয়ার পোর্টটি চিনের। এই দুটির সাহায্যে চিন ভারতের জলসীমাতেও হস্তক্ষেপ করতে পারে।
ইন্দো-প্যাসিফিকে ভারতের প্রভাব
লাদাখের এই অস্থির পরিস্থিতি আদতে চিনের ইন্দো-প্যাসিফিকে নিজেদের প্রভাব বর্ধনের চেষ্টা হতে পারে বলে মত আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের। যদিও জম্মু কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বদলের ঘটনাকে তাদের আগ্রাসী পদক্ষেপের যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছে চিনা প্রতিষ্ঠানগুলি। আদতে লাদাখে ভারতের সঙ্গে এই পেশি দর্শনের লড়াইের নেপথ্যে রয়েছে চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ক্ষমতা ও তা ব্যবহার করার রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা।
চিনের বিরুদ্ধে চতুর্শক্তি গঠন
এদিকে ভারত ও আমেরিকার সঙ্গে জাপান, অস্ট্রেলিয়া মিলে এক চতুর্শক্তি গঠন করেছে। যার অংশ হিসাবে তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি চায়। এই অঞ্চল জাপানের পূর্ব উপকূল থেকে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ক্রমবর্দ্ধমান তৎপরতা এবং আগ্রাসী মনোভাবের দিকে তাকালে এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দক্ষিণ চিন সাগর ছাড়াও, চিন ইদানীং জাপান ও তাইওয়ানের সঙ্গে আঞ্চলিক বিবাদেও জড়িয়েছে।
চিনের তৈরি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা
চিনের তৈরি এই ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে, রাশিয়া এবং অ্যামেরিকার মতো প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সমঝোতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের 'বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব' রয়েছে, সেখানে অ্যামেরিকার সঙ্গে সম্পর্কও 'সার্বিক আন্তর্জাতিক কৌশলগত সম্পর্কে' উন্নিত হয়েছে।
লাদাখ উত্তেজনার বড় ফ্যাক্টর জিনজিয়াং! যেভাবে সেই প্রদেশের উইঘুরদের দমিয়ে রাখে চিনের কমিউনিস্টরা