রোহিঙ্গা সমস্যার জের, মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত ভারতের
ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পর্যালোচনা করছে ভারত। রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমস্যা শুরু হওয়ায় এই পর্যালোচনা বলে জানা গিয়েছে। চুক্তির ফলে দুদেশের সীমান্তের ১৬ কিলোমিটারে
ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পর্যালোচনা করছে ভারত। রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমস্যা শুরু হওয়ায় এই পর্যালোচনা বলে জানা গিয়েছে। চুক্তির ফলে দুদেশের সীমান্তের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীরা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে ১৬৪৩ কিলোমিটারের সীমান্ত। দুদেশের সীমান্তের আশপাশে বসবাসকারীদের জনগোষ্ঠীর অনেক কিছুতেই মিল রয়েছে। দুদেশের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। দুদেশের সীমান্তের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। বৈধ কাগজপত্র এবং অনুমতি থাকলে ভিসা ছাড়াই এক দেশের মানুষ অপর দেশে ৭২ ঘন্টা সময় কাটিয়েও দিতে পারেন।
যদিও এই চুক্তির অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। চোরাচালানকারী, অস্ত্র সরবরাহকারী এবং জঙ্গিরা এই চুক্তির সুযোগ নিয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর। এমন কি জঙ্গিরাও এই চুক্তির সুযোগ নিয়ে ভারতে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এই মুহুর্তে রোহিঙ্গা সমস্যার জোরদার হওয়ায় চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভারত-মায়ানমার দু-দেশের মধ্যেকার সীমান্ত চুক্তির পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দুই সিনিয়র অফিসারকে পাঠানো হয়েছে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে থাকা ভারতের ৪ রাজ্যে। তাঁরা রিপোর্ট দিলেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে মায়ানমারে চলা হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে চলেছে নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেসের। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন ছাড়াও মিশর, কাজাখস্তান, সেনেগাল এবং সুইডেনের অনুরোধে এই বৈঠক হবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্স মায়ানমারের সেনা অভিযানকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।