রাশিয়া-আমেরিকার সমরাস্ত্রের উপর নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে ভারত, কমছে আমদানির পরিমাণ
রাশিয়া-আমেরিকার সমরাস্ত্রের উপর নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে ভারত, কমছে আমদানির পরিমাণ
গত বছর চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে দফায় দফায় সামরিক শক্তিবৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেছে ভারত। আমেরিকা, ফ্রান্স থেকে কেনা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র। কিন্তু তারপরেও সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিগত এক দশকে ভারতের সমরাস্ত্র কেনার পরিমাণ ক্রমাণ্বয়ে তলানিতে নেমেছে। এমনকী ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই পারাপতনের হার সর্বোচ্চ।
কী বলছে স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট ?
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারত যে পরিমাণ সমরাস্ত্র কিনছে, পরবর্তী ৫ বছরে তা ক্রমেই কমতে থেকেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাস্ত্র ও সমর সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে কার্যত ট্র্যাক রেকর্ড করে এই এসআইপিআরআই। এই তালিকাতেই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে গত পাঁচ বছরে ভারতে সমরাস্ত্র আমদানির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে।
সমরাস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে ভারত
অন্যদিকে সমরাস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে এখনও গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের আগেই এই তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। অন্যদিকে সমরাস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সমরাস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি এবং চিন।
ছাপ পড়েছে ইন্দো-আমেরিকা সমর বাণিজ্যেও
অন্যদিকে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় রফতানিকারক দেশগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাশিয়া। যদিও ছাপ পড়েছে ইন্দো-আমেরিকা সমর বাণিজ্যেও। আমেরিকা থেকে ভারতের সমনরাস্ত্র আমাদনির পরিমাণও প্রায় ৪৬ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট। যদিও সূত্রের খবর, আগামী কয়েক বছরে বড় মাত্রায় আমদানির রাস্তায় হাঁটতে চলেছে ভারত।
দেশীয় শান দিতেই আমদানি কমাচ্ছে ভারত ?
অন্যদিকে অনেকের ধারণা দেশীয় প্রযুক্তিতে শান দিতে বা বলা ভালো মোদীর মেক ইন ইণ্ডিয়ার স্বপ্ন সত্যি করতেই আমদানি কমানোর দিকে ঝুঁকেছে ভারত। যদিও স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট বলেছে এই তথ্য আদপে সত্যি নয়। আমাদানি কমে যাওয়ার ফলে মূলত রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্রের উপর ভারতের নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
কয়েকটি ব্যাঙ্কের বর্তমান চেকবুক,পাসবুক সামনের মাস থেকে 'ইনভ্যালিড' হচ্ছে, জানুন বিস্তারিত