দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম কারিগর 'শিক্ষক' আনন্দ কুমার, জেনে নিন তাঁর কাহিনি
বহু গুণী তারকারা প্রচারের আড়ালে থেকেই দেশ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে চলেছেন সারাক্ষণ। এমনই একজন তারকা বিহারের শিক্ষক আনন্দ কুমার।
দেশের তারকা বলতে সাধারণত বিভিন্ন সেলেব্রিটিকেই ধরে নেওয়া হয়। তবে এদেশের আনাচে কানাচেতেও ছড়িয়ে রয়েছেন বহু তারকা। যাঁদের নিত্য পরিশ্রম আর উদ্যোগে এই দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এইসমস্ত গুণী তারকারা প্রচারের আড়ালে থেকেই দেশ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে চলেছেন সারাক্ষণ। এমনই একজন তারকা বিহারের শিক্ষক আনন্দ কুমার।
[আরও পড়ুন:কালামের দর্শনই তাঁর প্রেরণা, আঠেরোতেই বিশ্বকে মাত করেছে রিফত শারুক]
বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলের গরীব ছাত্রদের বিনা পারিশ্রমিকে আইআইডি -জেইই পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেন আনন্দ কুমার। নিজে এদেশের অন্যতম গণিতবিদ হিসাবে পরিচিত। ছাত্রাবস্থায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ডাকও পেয়েছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু সেসময় তাঁর পিতৃবিয়োগ আর অর্থের অভাবে যাওয়া হয়নি বিদেশে পড়তে।
অর্থাভাবে পড়াশুনা নষ্ট হওয়ার যন্ত্রণা তিনি পেয়েছেন । তাই বোঝেন সে যন্ত্রাণার কাতরতা। সেজন্যই বিহারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজানুজন ইনস্টিটিউট অব ম্যাথামেটিক্স। যেখানে ২০০২ সালে থেকে প্রতিবছর ৩০ জন মেধাবী ছাত্রকে ভর্তি নেওয়া হয়। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আইআইটি-জেইই পরীক্ষার জন্য। আনন্দ কুমারের এই উদ্যোগ সাফল্যের মুখও দেখেছে। এবছরে তাঁর ৩০ জন ছাত্রই জায়গা করে নিয়েছে আইআইটি-জেইই- এর প্রবেশিকার তালিকায়।
আনন্দ কুমারের ছাত্রদের মধ্যে বেশিরভাগই সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্য। কেউ ট্যাক্সি ড্রাইভারর সন্তান তো কারোর বাবা দিন মজুর। এই অভাবীদের নিয়েই আনন্দের দীর্ঘদিনের লড়াই। এই ছাত্রদের মুখে হাসি ফোটাতেই ক্রমাগত নিজেকে এই কাজের প্রতি আরও দায়বদ্ধ করে চলেছেন আনন্দ। দেশের ৭০ বছরের স্বাধীনতাদিবস পূর্তী অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে , এদেশ আনন্দের মতো মহান শিক্ষাব্রতীদের কুর্ণিশ জানায়। সমাজ গড়ে তোলায় শিক্ষক আনন্দ কুমারের অবদান অপূরণীয়।