প্যাংগংয়ে বেআইনি ভাবে দখলে'র জমিতেই দ্বিতীয় ব্রিজ লালফৌজের! নজর রাখছে ভারত
ভারত-চিন সীমান্ত জুড়ে লাগাতার নির্মানকাজ চালাচ্ছে লালফৌজ! ইতিমধ্যে একাধিকবার এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায় ভারত। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বেজিং। পালটা সীমান্ত জুড়ে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশ। আর এর
ভারত-চিন সীমান্ত জুড়ে লাগাতার নির্মানকাজ চালাচ্ছে লালফৌজ! ইতিমধ্যে একাধিকবার এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায় ভারত। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বেজিং। পালটা সীমান্ত জুড়ে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশ। আর এর মধ্যেই আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
লাদাখের প্যাংগং তসো লেকের উপর দ্বিতীয় একটি ব্রিজ বানাচ্ছে চিন। সম্প্রতি এমনটাই তথ্য সামনে এসেছে। আর তা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত।
পুরো পরিস্থিতি'র উপর নজর রাখা হচ্ছে
এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক জানায়, পুরো পরিস্থিতি'র উপর নজর রাখা হচ্ছে। যদিও পুরো বিষয়টিই ভারতীয় সেনার অধীনে থাকা একটি বিষয়। বেআইনিভাবে এই এলাকা'র দখল রেখেছে চিন। তবে এই বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রক আরও বিস্তারিত জানাতে পারবে বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। তবে চিনের এহেন উস্কানিমূলক পদক্ষেপ যে ভারত কোনও ভাবেই ভালো ভাবে নেবে না তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই এলাকা চিনের দখলে এলাকা।
বিদেশমন্ত্রক মুখমাত্র অরিন্দন বাগচী সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। আর সেখানেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। প্যাংগংয়ের উপর নয়া ব্রিজ বানানোর ক্ষেত্রে ভারতের পদক্ষেপ কি সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। আর সেখানে মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, পুরো পরিস্থিতি'র উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু যে এলাকার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে ওই এলাকা চিনের দখলে এলাকা। ফের ওই এলাকা ভারত ফিরে পাবে বলেও আশা করেন অরিন্দম বাগচী। তবে এই মুহূর্তে ঘটনাক্রমের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
সিমান্ত জুড়ে নির্মান কাজ
চিনের (china) সেনাবাহিনী অর্থাৎ পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) অরুণাচল প্রদেশের (arunachal pradesh) সীমান্ত জুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে। একইসঙ্গে তাদের ক্ষমতাও বাড়াচ্ছে সীমান্ত জুড়ে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর (army) পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা। তবে সীমান্তের যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতও তৈরি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই কাজের মধ্যে রয়েছে রাস্তা, রেল, বিমান সংযোগ উন্নত করা, যাতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাহিনীতে খুব কম সময়ে একত্রিত করা যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রাখার কাছাকাছি সীমান্তে গ্রাম তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
চড়ছে উত্তেজনার পারদ
এই অবস্থায় ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনা। ভারত এবং চিন সিমান্তে ইতিমধ্যে ব্যাপক সেনা সমাবেশ করেছে ভারত। তৈরি রাখা হয়েছে বিমানবাহিনীকেও। যদিও আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি সমাধান চায় ভারত। আর সেই কারণে পুরো বিষয়টি নিয়ে ফের একবার আলোচনা চায় মোদী সরকার।