মুদ্রাস্ফীতির নাগপাশে বন্দি ভারত! অত্যাবশ্যক পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম থেকে এখনই নিস্তার নেই আম-আদমির
বড়সড় জিডিপি ঘাটতির মাঝেই মুদ্রাস্ফীতির পুরনো রেকর্ড ভাঙছে ভারত
লকডাউনের জেরে তীব্র আর্থিক মন্দার সাক্ষী হয়েছে গোটা ভারতই। এদিকে গত কয়েক মাস থেকেই খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি একটানা বেড়ে চলেছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। এদিকে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও বড়সড় জিডিপি ঘাটতির মুখোমুকি হয়েছে গোটা ভারত। তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা সাফ জানাচ্ছে এত সহজে এই মন্দা-দশা থেকে মুক্তি নেই আম-আদমির।
মুদ্রাস্ফীতির পুরনো রেকর্ড ভাঙছে ভারত
এদিকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতিতে গত কয়েক মাস থেকেউ বিগত সমস্ত বছরের রেকর্ড ভাঙছে ভারত। এমনকী শুধু অক্টোবরের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই-র তথ্য বলছে এই মাসেই খুচরো মূদ্রাস্ফীতি ৭.৬১ শতাংশের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। নভেম্বর মাসে অবস্থা আরও সঙ্গীন। যা ২০১৪ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ।
বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম
অন্যদিকে কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স বা সিএফপিআই গত সেপ্টেম্বরে ছিল ১০.৬৮ শতাংশে। অক্টোবরে তা ছুঁয়ে ফেলেছে ১১.০৭ শতাংশের গণ্ডি। পাশাপাশি গত অক্টোবরে মাংস এবং মাছের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে ১৮.৭ শতাংশ, যেখানে শাকসবজির দাম বেড়েছে ২২.৫১ শতাংশ। বড় মাত্রায় বেড়েছে বেড়ে জামা-কাপড় জুতোর দামও।
ভয় ধরাচ্ছে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স
এদিকে পূর্বাভাস বলছে এই ধারা বজায় থাকবে আগামী অর্থবছরেও। চলতি ত্রৈমাসিকে গড় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই আছে ৬.৮ শতাংশে। ২০২১ সালের জানুয়ারি-মার্চে তা দাঁড়াবে ৫.৮ শতাংশে। পাশাপাশি এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে তা দাঁড়াবে ৫.২ শতাংশ থেকে ৪.৬ শতাংশে। এমনকী বাজার ভিত্তিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বহুল প্রচারিত বা বলা ভালো ব্যবহূত জনপ্রিয় সাবান লাক্সের দামই গত কেক মাসে প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ছাপ পড়েছে প্রাত্যহিক জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও।
২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে মোটর বাইক ও চার চাকার দাম
অন্যিদিকে সাবানের পাশপাশি টাটা কোম্পানির চায়ের দামও বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার প্রি-পেড প্যাকের দামও গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে মোটর বাইক ও চার চাকা গাড়ির দামও প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে। এদিকে করোনাকালীন লকডাউনও ও আর্থিক মন্দার জেরে ইতিমধ্যেই তলানিতে এসে ঠেকেছে সাধারণ মানুষের আয়। অন্যদিকে দেশ জোড়া মুদ্রাস্ফীতির জেরে বর্তমানে দিশেহারা ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি। যদিও ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে স্থিতাবস্থা দেখা না দিলে এই মন্দাদশা কোনও ভাবই কাটবে না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু ফাউন্ডেশনের শীর্ষপদের দায়িত্বে ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিল সোনি