লোকসভা নির্বাচনে হ্যাকিং-এর ভয়! ফেসবুক-সহ তিন সোশ্যাল মিডিয়াকে দিতে হবে মুচলেকা
লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তিন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে নিয়ে পদক্ষেপ নিল ভারত। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্য়াপ এবং ইনস্টাগ্রামের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফেসবুক এবং বাকি দুই সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বুধবার এক বৈঠকে বসে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সেখানেই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম-কে ভারত সরকার ভারতীয় নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তা রাক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করে। লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে যাতে কেউ নাগরিকদের সম্পর্কে কোনও তথ্যকে অন্যকাজে ব্যবহার করতে না পারে তা সুরক্ষিত করতে ফেসবকু, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম-কে নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকী এই তিন সোশ্যাল মিডিয়াও যাতে ভারতীয় নাগরিকদের তথ্যকে নির্বাচন সংক্রান্তে কাজে ব্যবহার না করে তারও স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়।

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে-র মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য-কারচুপির আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ করে কেমব্রিজ অ্য়ানালিটিকা-র কেলেঙ্কারি এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেসবুকের তথ্যকে হাতিয়ার করারকাণ্ডে-র পর সতর্ক ভারত। তাই এদিনের বৈঠকে তিন সোশ্যাল মিডিয়ার কর্তাদের ভারত জানিয়ে দেয়, 'ভারতের নির্বাচন, জাতীয় নিরাপত্তা, নাগরিকদের তথ্যের সুরক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি। এই বিষয়ে আপনারা কী কী করছেন তা ১০ দিনের মধ্যে লিখিত আকারে জমা করুন।'
[আরও পড়ুন: 'জাতিকে ভাঙাটাই কি আপনাদের কাজ', পুলওয়ামা নিয়ে ফেসবুককে ধমক মোদী সরকারের ]
এদিনের বৈঠকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ফেসবুকের কাছে তাদের কনটেন্ট, বিজ্ঞাপন এবং মার্কেটিং কোনও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করছে তাও জানতে চায়। কিন্তু, ফেসবুক এই নিয়ে কোনও সদর্থক উত্তর দিতে পারেনি। কেমব্রিজ অ্য়ানালিটিকা কেলেঙ্কারি দেঁখিয়ে দিয়েছিল কীভাবে ফেসবুক থেকে কোটি কোটি ইউজারের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এমনকী এই সব তথ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনকেও প্রভাবিত করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কীভাবে ইউজারদের নানান তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে তা বারবার উঠে এসেছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার এই দুনিয়ায় নির্বাচনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে ভারত।