করোনা যুদ্ধ জয়ের পথে আরও একধাপ, ভারতে শুরু অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল
আজ দেশে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হবে। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগের সমস্তরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হবে।
করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট
ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মা কম্পানি আস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর প্রকাশকুমার সিং বলেন, 'সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে আমরা সবরকম অনুমোদন পেয়েছি। আজ থেকে ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হচ্ছে।'
১৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন
শুধু দ্বিতীয় পর্যায়ের নয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগেরও অনুমোদন দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ। প্রাথমিকভাবে ১৭টি ক্লিনিককে বেছে নেওয়া হয়েছে। অগাস্টের শেষের দিকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, এমন ১৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন।
১৭টি শহরে হবে এই ভ্যাকসিন ট্রায়াল
১৭টি শহরে ১৮-এর বেশি বয়সি ১৬০০ জনের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে । দিল্লির এইমস, পুনের বিজে মেডিকেল কলেজ , পটনার রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স, চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, যোধপুরের এইমস, গোরখপুরের নেহরু হাসপাতাল এবং বিশাখাপটনমের অন্ধ্রপ্রদেশ মেডিকেল কলেজ এবং জেএসএস অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইন মাইসোর হাসপাতালে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলবে।
টীকা তৈরির লাইসেন্স সেরাম ইনস্টিটিউটের
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হওয়ার পরেই ভারতে এই টীকা তৈরির লাইসেন্স পায় সেরাম ইনস্টিটিউট। এরপর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষণ হয় দেশে। এরপর আজ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের আগে প্রত্যেকের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। তাঁদের শরীরে করোনার কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ভালো সাড়া মিলেছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনে
অক্সফোর্ডের তৈরি এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো সাড়া মিলেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ব্রিটেনে জুলাই মাসে এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়। যাঁদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যান্সেটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে টি-সেল উদ্দীপ্ত হয়। অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ২৮ দিনের মধ্যে।
চেতন চৌহানের মৃত্যু ঘিরে চরম রহস্য! শিবসেনার তরফে উঠল সিবিআই তদন্তের দাবি