আবার WFH-এর দুনিয়াতে ফিরবে ভারতীয় সংস্থাগুলি? শঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন কর্তারা
চিন সহ একাধিক দেশে ভয় ধরাচ্ছে করোনার নয়া (Coronavirus new Variant) ভ্যারিয়েন্ট BF.7। আর তা দেখে রীতিমত উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে করোনা তিনটি সুনামি বয়ে গিয়েছে। এরপর ফোর্থ ওয়েভের সম্ভাবনা থাকলেও এই মুহূর্ত
Omicron BF.7 In India: চিন সহ একাধিক দেশে ভয় ধরাচ্ছে করোনার নয়া (Coronavirus new Variant) ভ্যারিয়েন্ট BF.7। আর তা দেখে রীতিমত উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে করোনা তিনটি সুনামি বয়ে গিয়েছে। এরপর ফোর্থ ওয়েভের সম্ভাবনা থাকলেও এই মুহূর্তে দেশে করোনা গ্রাফ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
ফলে আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। উৎসবের মরশুমে করোনার বাড়বাড়ন্ত মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না চিকিৎসকরা। ফলে সতর্ক থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সতর্ক ভারতীয় সংস্থাগুলিও
বিশ্বজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সংস্থাগুলিও। ইতিমধ্যে একাধিক সংস্থা ফের একবার কর্মচারীদের WFH-এর সুবিধা দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। এমনকি বিকল্প নিয়ে ভাবনা চিন্তাও শুরু হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। এমনকি যদি হঠাত করে করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় তাহলে পর্যটন, হসপিটালিটি, রিয়েল এস্টেট সেক্টরের কোম্পানিগুলি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিতে পারে।
সেক্টর হাই অ্যালার্টে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ফের একবার বাড়ি থেকে যদি কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে ফের একবার পরিকাঠামো প্রয়োজন। আর সেই পরিকাঠামো তৈরির বিষয়ে ভাবনা চিন্তাও শুরু হয়েছে বলেও প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। মিন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে Careernet-এর সিইও অংশুমান দাস বলছেন, হসপিটালিটি, অটো মোবাইল, কর্মাশিয়াল অফিস, ট্রাভেল এবং ট্রান্সপোর্ট সেক্টর হাই অ্যালার্টে রয়েছে। গত সপ্তাহে, কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে আগত সমস্ত যাত্রীদের জন্য কোভিড -19 পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে।
মন্দার মধ্যেই করোনা ভয়
চিনের মাটিতে নয়া ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এ আক্রান্ত বহু মানুষ। এমনকি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল এবং আমেরিকাতে ব্যাপক ভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। আর এর মধ্যেই এক শিল্প কর্তার দাবি, কোভিডের খবর এমন সময়ে আসছে যখন সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে বিশ্ব মন্দার ভয়ে নতুন নিয়োগ করছে না। এই অবস্থায় নতুন করে পর্যটন এবং হসপিটালিটড়ি সেক্টরে ফের একবার ধাক্কা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এরপরেই কর্মসংস্থান নিয়েও একটা আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ধীরে ধীরে অফিসে ফিরছিলেন কর্মচারীরা
যদিও ভারতে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক। যদিও সতর্ক থাকতে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে। বিশেষ করে অক্সিজেন, বেড সহ একাধিক বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে। করোনার কারণে দীর্ঘ দুবছর বাড়ি থেকে বসেই কাজ করতে হয়েছে কর্মীদের। তথ্য প্রযুক্তি সেক্টর হোক কিংবা দেশের একাধিক খাতে চিত্রটা একই ছিল। পরিস্থগিতি স্বাভাবিক হতেই ধীরে ধীরে কর্মীদের অফিসে আসার নির্দেশ দিচ্ছিল সংস্থাগুলি। স্বাভাবিক হচ্ছিল পরিস্থিতি। এই অবস্থায় ফের একবার আশঙ্কাও সংস্থাগুলিও।