২৪ টি ওষুধের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের! ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতেই কি সিদ্ধান্ত বদল, জল্পনা
দেশ থেকে ওষুধ রপ্তানির ওপরে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা তুলে নেওয়ার কথা জানাল মোদী সরকার। গতমাসে করোনা সংক্রমণের জেরে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দেশ থেকে ওষুধ রপ্তানির ওপরে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা তুলে নেওয়ার কথা জানাল মোদী সরকার। গতমাসে করোনা সংক্রমণের জেরে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এদিকে আমেরিকার হুমকির জেরে মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেননা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে ভারত যদি হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন না সরবরাহ করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ টি ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত
দেশ থেকে ২৪ টি ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত সরকার। এ সম্পর্কিত একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় ব্যথা নিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত প্যারাসিটামল নেই বলে জানা গিয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত কিছু দেশের জন্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল রপ্তানিতে অনুমতি দেওয়ার কথা সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
গতমাসে নিষেধাজ্ঞা জারি
দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়া এবং বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু ওষুধ অমিল হয়ে যাওয়ার পরেই ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। ৩ মার্চ জারি করা বিপ্তজ্ঞিতে ২৬ টি ওষুধের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই ২৬ টি ওষুধ ভারতের ওষুধ রপ্তানির ১০ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক এবং এরিথ্রোমাইসিন এবং ভিটামিনও ছিল।
টেস্টিং কিট, ভেন্টিলেটর রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা
ওষুধ ছাড়াও, ডায়াগনস্টিক কিট, ভেন্টিলেটর, মাস্ক রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
ট্রাম্পের হুমকিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, শুরু জল্পনা়
শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা হয়। সেখানে ট্রাম্প হাইড্রক্তিক্লোরোকুইন পাছানোর কথা বলেন। এরপর ভারতকে সাহায্য দেওয়ার কথাও জানায় আমেরিকা। এরপর শোনা যায় ট্রাম্পের তরফে হুঁশিয়ারির কথা। ওষুধ না পাঠালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভারতের বিরুদ্ধে। এই হুঁশিয়ারির পরেই ওষুধ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।