করোনার জেরে রাজনৈতিক সিস্টেমও ভেঙে পড়ছে, ২০ বছর পিছিয়ে গেল দেশ, বার্তা শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের
হাসপাতালের সামনে কোথাও অ্যাম্বুলেন্সের লাইন, কোথাও রোগীকে ভর্তির আর্জি আবার কোথাও অক্সিজেনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। এই চিত্র কার্যত করোনার দ্বিতীয় স্রোতের জেরে সারা দেশে! এমন পরিস্থিতিতে বাংলা এখনও ভোটের মধ্যে। এদিকে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে করোনার ভয়াল দংশন নিয়ে এবার মুখ খুললেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।
সঞ্জয় রাউতের বার্তা
'ভারত প্রায় ২০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে অতিমারীর জেরে। আমি যদিও জানিনা শেষ ৫ -১০ বছরে দেশে কী অগ্রগতি হয়েছে। এখন শুধু বাঁচার লড়াই রয়েছে। আমাদের একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে।' এদিন এই বক্তব্য রাখেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত।
রাজনৈতিক সিস্টেম ভেঙে গিয়েছে!
শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, করোনার জেরে দেশের অর্থনৈতিক দিক ভেঙে পড়েছে । শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক সিস্টেমও ভেঙে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র কীভাবে লড়াই চালাচ্ছে তা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন সঞ্জয় রাউত। তাঁর মতে কোভিডের জেরে মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গেই দেশের দুই বড় দিক, রাজনীতি ও অর্থনীতি কার্যত বিপর্যস্ত অবস্থায়।
অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা
এদিন সঞ্জয় রাউত বলেন, উত্তর প্রদেশ, বিহার এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্যে বিশাল পরিমাণে করোনার দংশন বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। সেই তুলনায় মুম্বইতে আগের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় কমতি দেখা যাচ্ছে। আর তার নেপথ্যে উদ্ধব ঠাকরের অবদান অনস্বীকার্য বলে দাবি করেন তিনি। মহারাষ্ট্রের সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতিতে লড়ছে , তারও খতিয়ান দেন রাউত।
মহারাষ্ট্র কীভাবে লড়ছে?
সঞ্জয় রাউত জানান, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের গ্রামের পর গ্রামের পরিস্থিতিরও খুঁটিনাটি বিবরণ নিচ্ছেন, বলে জানান সঞ্জয় রাউত। এদিকে, সেরাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার রাজ্যের সর্বস্তরের স্বাস্থ্য অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন বলে দাবি করা হয়েছে।