'সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়', বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল দিল্লি
নাগরিকত্ব ইস্যুতে যখন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল তখন এক নিমেষে বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী নিজেদের ভারত সফর পর পর বাতিল করেন।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে যখন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল তখন এক নিমেষে বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী নিজেদের ভারত সফর পর পর বাতিল করেন। এরপর মুখে কিছু না বললেও সফর বাতিল করেন জাপানের প্রাইমমিনিস্টার শিজো আবে। এমন প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়ে দিল্লি। এবার সেই প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলে বিদেশমন্ত্রক নিজের অবস্থান সিএএ ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে স্পষ্ট করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে ভারতের অবস্থান
বাংলাদেশ এর আগে ভারতের নাগরিকত্ব ইস্যুতে একের পর এক তোপ দাগে দিল্লির বিরুদ্ধে। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রী আব্দুল মোমেন সিএএ নিয়ে মুখ খুলে সাফ জানিয়ে দেন , ভারত যাঁদের পাঠাতে চায় বাংলাদেশে তাঁদের তালিকা যাচাই করা হবে। কূটনৈতিক মহলের ধারণা ছিল যে ভারতের সিএএ নিয়ে বাংলাদেশ বেশ ক্ষুব্ধ। আর সেই প্রসঙ্গে এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়ে দেন যে , 'এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আমাদের সরকারের অবস্থান এনআরসিনিয়ে বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দিয়েছি।'
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দিল্লির যোগ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এই মুহূর্তে নাগরিকত্ব ইস্যুতে নিজের অবস্থান দিল্লি স্পষ্ট করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলে নাগরিকত্ব ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কী করতে চাইছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হচ্ছে, বলে জানিয়েছেন রবীশ কুমার।
নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল সরকার
নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় গোটা দেশ । এমন পরিস্থিতিতে, বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে , এক্ষেত্রে শুধু জোর দেওয়া হচ্ছে সিএএ নিয়ে ও এনআরসি নিয়ে শুধুমাত্র নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে। তাও যাঁরা সংখ্যালঘু অত্যাচারিত তাঁদের কথা বলা হয়েছে। রবীশ কুার জানান, 'এতে দেশের সংবিধানের ন্যূনতম পরিকাঠামো পরিবর্তন করা হবে না।'
সিএএ বিরোধিতার জন্য বাতিল করা হয়েছে বাংলার ট্যাবলো দাবি মদন মিত্রের