ভারত কি আদৌও স্টেজ–৩ স্তরে পৌঁছেছে, পাকা প্রমাণ নেই সরকারের কাছে
শনিবার ভারতে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ভারত স্টেজ–৩ পর্যায়ে চলে গিয়েছে এবং সম্প্রদায় সংক্রমণ হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের কর্মকর্তারা অবশ্য এখনও এর কোনও নিশ্চিত প্রমাণ না পেয়ে বলেছিলেন যে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে যেখানে সংক্রামিত রোগীদের সঙ্গে কোনও বিদেশ ভ্রমণ বা যোগাযোগের ইতিহাস এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যদিও রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে দেশে এখনও পর্যন্ত ৯১৮টি নিশ্চিত করোনা ভাইরাস আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে ও ২০টি মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রোজই এই মহামারির বিষয়ে তথ্য জানানো হয়, শনিবার আইসিএমআরের শীর্ষ কর্মকর্তা ডাঃ আর গঙ্গা কেতকার বলেছেন, 'সাধারণ মানুষ সংক্রমিত হওয়ার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা পরিস্থিতিটির অতিরিক্ত ব্যাখ্যা করব না।’
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সম্প্রদায় সংক্রমণ কি? এর অর্থ হল যেখান থেকে রোগটা ছড়াচ্ছে সেই যোগসূত্রটি অজানা অথবা রোগী ও অন্য ব্যক্তির মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি অজ্ঞাত। এরকম হলে নিশ্চিত করোনার মামলার ক্ষেত্রে কোথা থেকে রোগটি ছড়িয়েছে তার সূত্র বোঝা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। যেরকমটা ইতালির ক্ষেত্রে ঘটেছিল।
শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা করোনা ভাইরাস পরীক্ষার হার কম হওয়ার কারণে উদ্বেগে রয়েছে এবং নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হবে এবং আমেরিকা থেকে আসা ৫ লক্ষ নতুন পরীক্ষার যন্ত্র আসায় তা এই মামলা সনাক্ত করতে আরও সাহায্য করবে।
শুক্রবারই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে ভারতের করোনা নমুনা পরীক্ষার কম হার সম্পর্কে জানা যায়। এক মিলিয়ন জনসংখ্যা প্রতি ১৮ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যেও সর্বনিম্ন। বিশেষজ্ঞরা যুক্তির সঙ্গে জানিয়েছেন যে সীমিত সংখ্যার নমুনা পরীক্ষা হওয়ার জন্য করোনার প্রকৃত সংখ্যাও হয়ত জানা যাচ্ছে না, হয়ত সংখ্যাটা করোনা আক্রান্তের অনেক বেশি।