কয়েক দশক ধরেই সোনা পাচারকারীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ
কয়েক দশক ধরেই সোনা পাচারকারীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ
ইতিমধ্যেই কেরলের সোনা পাচার কাণ্ড মূল দুই অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও তাঁর সঙ্গী সন্দীপ নায়ারকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এদিকে এই ঘটনায় সরাসরি নাম জড়িয়েছে কেরল প্রশাসনেরও। ওয়াকিবহাল নহলের ধারণা গত কয়েক দশকেই সোনা পাচারের ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের সর্বদাই নজর রয়েছে ভারতের উপর। কিন্তু সোনা পাচারের ক্ষেত্রে কীভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে ভারত ?
ভারতকেই কেন পাখির চোখ করছে চোরাচালানকারীরা ?
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছে এর মূল কারণ অবশ্যই বিপুল মুনাফার লোভ। এদিকে ২০১৯-২০ সালে বেআইনি পথে চালানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেরল থেকেই বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার পরিমাণ ৫৫০ কেজির আশেপাশে। যা এই মুহূর্তে ভারতে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার প্রায় ১৫ শতাংশ। সূত্রের খবর, চোরাপথে আসা সোনার ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে শুধুমাত্র আমদানি শুল্কের উপরে ৫ লক্ষ টাকারও বেশি লাভ হয় পাচারকারীদের। পাশাপাশি এর ফলে এড়িয়ে যাওয়া যায় অন্যান্য করের বোঝাও।
প্রতিবছর কত পরিমাণ সোনা আমদানি করা হয় দেশে ?
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ভারতের একাধিক বেসরকারি সংস্থার হাতে প্রায় ২০ হাজার টন সোনার রিজার্ভ রয়েছে। যার পরিমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সম্বলিত মোট সোনার থেকেও বেশি। পাশাপাশি ভারত প্রতিবছর ৮০০ থেকে ৯০০ টন সোনা আমদানি করে বলেও জানা যাচ্ছে। কিন্তু সোনা আমদানিতে বার্ষিক খরচের পরিমাণ ১০০০ টন সোনা আমদানির আশেপাশে চলে যায়।
প্রতিবছরে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকে ২০০ টনের কাছাকাছি সোনা
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ভারতে প্রতিবছর ২০০ টনের কাছাকাছি সোনা বেআইনি পথে আমদানি করা হয়। এদিকে শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুসারে ২০১৮-১৯ সালে কেরল থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৪০১ কেজি সোনা। এদিকে বড়বড় পাচারের কথা জানা থাকলেও ভারতীয় শুল্ক বিভাগ জানাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলিতে তদন্তের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার জন্যই মূলত প্রধান পাচারকারীরা হাতের নাগালের বাইরে থেকে যায়। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে বারংবার নাম জড়াতে দেখা গেছে আরব আমির শাহির।
চোরাচালানে ব্যবহৃত হচ্ছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিও
এদিকে পড়শি দেশের সীমানাকেও চোরাচালানকারীরা সহজেই নিজেদের রাস্তা হিসাবে দেখা যায়। নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান এবং মায়ানমারের সাথে ভারতের ছোট ছোট সীমান্ত পাচারকারীদের অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়তা করে বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৯ সালে রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (ডিআরআই) তরফে বলা হয় যে চিন, তাইওয়ান এবং হংকং থেকেও সোনার চোরাচালান অনেকটাই বেড়েছে। এই ক্ষেত্রে হাতিয়ার করা হচ্ছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিকেও।
এবার হাইকোর্টে করোনার থাবা! সংক্রমণ দুজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও এক আর্দালির