ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এর আগেও ভারত সাক্ষী থেকেছে মৃত্যুদণ্ডের
ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এর আগেও ভারত সাক্ষী থেকেছে মৃত্যুদণ্ডের
মঙ্গলবারই
দিল্লি
আদালত
২০১২
সালের
নির্ভয়া
গণধর্ষণ
ও
খুনের
মামলায়
মৃত্যু
পরোয়ানা
জারি
করেছে।
পরোয়ানা
অনুযায়ী,
২২
জানুয়ারি
সকাল
সাতটায়
ওই
চারজন
সাজাপ্রাপ্তকে
একসঙ্গে
ফাঁসি
দেওয়া
হবে
তিহার
জেলে।
অক্ষয়
ঠাকুর,
মুকেশ
,
পবন
গুপ্তা
ও
বিনয়
শর্মার
এখনও
সুযোগ
রয়েছে
ক্ষমা
প্রার্থনার
আবেদন
করার,
যদিও
এর
আগেই
দু’জন
সাজাপ্রাপ্তের
আবেদন
খারিজ
করে
দেয়
সুপ্রিম
কোর্ট।
প্রসঙ্গত,
গত
১৫
বছর
আগেও
ধর্ষণ
ও
হত্যার
ক্ষেত্রে
ভারত
তার
প্রথম
ফাঁসির
সাক্ষী
থেকেছে।
ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি
২০০৪ সালে কলকাতার এক নিরাপত্তারক্ষী ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি এক ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুন করার অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ ধনঞ্জয় যে আবাসনে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করত, সেখানকারই এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করে। এই ঘটনার ১৪ বছর পর দীর্ঘ শুনানির পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট তার ৩৯তম জন্মদিনের দিন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একুশ শতকের ভারতে ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি একমাত্র ব্যক্তি যাকে আইনতভাবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। ফাঁসির আগে পর্যন্ত সে কলকাতার আলিপুর জেলে বন্দী ছিল।
ধনঞ্জয়ের ঘটনা
যে আবাসনে কিশোরী থাকত সেই আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষী ছিল ধনঞ্জয়। ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ কিশোরীকে মৃত অবস্থায় তার ঘরেই দেখতে পান তার মা। আবাসনে সকালের ডিউটিতে ছিল ধনঞ্জয়। কিন্তু খুনের ঘটনার পর তাকে আর আবাসনের আশেপাশে দেখতে পাওযা যায় না। তদন্তের সময় পুলিশের সন্দেহ তার ওপরই গিয়ে পড়েএবং ওই বছরের ১২ মে ধনঞ্জয়ের গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিশ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন ও ঘড়ি চুরির মামলা দায়ের করে। পরিস্থিতির প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দায়রা আদালত ধনঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে ও তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও দায়রা আদালতের রায় বহাল রাখে।
২১ শতকের প্রথম ফাঁসির সাক্ষী থাকল দেশ
২০০৪ সালের ২৫ জুন ধনঞ্জয়ের ফাঁসির তারিখ নির্ধারিত হয়। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ধনঞ্জয়ের হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করে, আবেদন করা হয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের কাছেও। কিন্তু ওই বছরের ৪ আগস্ট উভয় পক্ষই তা খারিজ করে দেয়। ১৪ আগস্ট ধনঞ্জয়কে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়। ধনঞ্জয়ের পরিবার তার দেহ নিতে অস্বীকার করে এবং পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তার সৎকার করে দেওয়া হয়। তবে আদালতে এই মামলা চলাকালীন ধনঞ্জয় ক্রমাগত বলে চলেছিল যে সে নির্দোষ, এমনকী মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার একই বয়ান ছিল।