সীমান্ত আলোচনার মধ্যেই চিনা কোম্পানি নিয়ে কড়া নীতি ভারতের
সীমান্ত আলোচনার মধ্যেই চিনা কোম্পানি নিয়ে কড়া নীতি ভারতের
লাদাখ থেকে অরুণাচল, ভারত চিন সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে৷ শেষ দু'তিন বছরে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সামরিক পর্যায়ে বৈঠকেও বসেছে দুটি দেশ৷ কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি! এবার ভারতে ব্যবসা করা চিনা কোম্পানিগুলির পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে দেশ। যে সমস্ত চিনা কোম্পানিগুলির আর্থিক অসঙ্গতি রয়েছে তাদের ঝাড়াই বাছাই শুরু করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে৷ এমনিতেই সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের বিরোধিতার রেশ ভারতে ব্যবসা করা চিনা কোম্পানিগুলিকেও আঁচ করতে হয়েছে সময়ে সময়ে!
২০২১ এ দু'দেশের সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল!
প্রসঙ্গত, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র দফতর এবং সামরিক পর্যায়ে দ্বৈত চ্যানেল রয়েছে, যা ২০২০ সালের মে মাস থেকেই অনেকাংশেই অসফল! এই সময় থেকেই উত্তেজনা রয়ে গিয়েছে সীমান্তে। ভারত-চিন বর্ডার অ্যাফেয়ার্স (ডব্লিউএমসিসি)-এর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন দ্য ওয়ার্কিং মেকানিজম-এর অধীনে কূটনৈতিক আলোচনার শেষ দফা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বরে। দু'দেশের সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে আলোচনাও বেশ কয়েক মাস আগে হয়েছিল।
চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে বরফ কি গলল?
যদিও চলতি বছর মার্চে চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফর করেন, যা বেইজিং-দিল্লি বরফ গলার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন! এই বৈঠক সম্পর্কে কেন্দ্র সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল যে উভয় পক্ষ পূর্ব লাদাখের পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর বর্তমান পরিস্থিতির উপর মতামত বিনিময় করেছে। একই সঙ্গে দু'দেশই সম্মত হয়েছে যে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এলএসিতে অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করার জন্য কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। এটি ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা বলেই দেখাতে চেয়েছে সরকার!
চিনের ব্যবসায়ীদের জন্য বেজিংয়ের অনুরোধ নয়াদিল্লিকে!
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পাবলিক নোটে আরও বলা হয়েছে যে, দু'দেশ শীঘ্রই সিনিয়র কমান্ডারদের মধ্যে পরবর্তী দফার আলোচনা করবে। এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকল অনুসারে পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর সমস্ত সংঘর্ষের পয়েন্টগুলি থেকে দু'দেশই সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে সুস্থ অবস্থানের প্রচেষ্টা করবে! একই সঙ্গে চিনের পক্ষ থেকে পারস্পরিক এবং সমান নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে৷ একই সঙ্গে বেজিংয়ের তরফে, চিনা কোম্পানিগুলির জন্য একটি ন্যায্য, বৈষম্যহীন ব্যবসার পরিবেশ প্রদান করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে।
হাত ছাড়লেন হার্দিক , সহস্তে তুলে নিলেন পদ্মের পতাকা