দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে পেট্রোল - ডিজেল, স্পষ্ট জানাচ্ছে সরকার
Array
দেশের বেশ কয়েকটি স্থান থেকে খবর আসছিল যে পেট্রোল পাম্পগুলিতে কমে আসছে পেট্রোল ডিজেলের পরিমাণ। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে এমন কিছুই নয়। সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে দেশে পেট্রোল এবং ডিজেলের সাথে কোনও জ্বালানির কোনও সংকট বা সরবরাহের কোনও সমস্যা নেই।
সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে যে , "এই সম্ভাবনা হতেই পারে যে কোম্পানিগুলি তাদের বকেয়া পরিশোধের জন্য পাম্প মালিকদের উপর চাপ দিচ্ছে। কোম্পানিগুলি বকেয়া পরিশোধ করতে বলছে, যা ঘটছে না এবং সেই কারণে কোম্পানিগুলি সেই নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছে। আর তাই জন্য কিছু পকেটে এমন পেট্রোল বা ডিজেলের আকাল দেখা দিচ্ছে, যা আদতে ভারতের কোনও সমস্যা নয়।"
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের (আইওসি) ডিরেক্টর (বিপণন) ভি সতীশ কুমার, দেশে জ্বালানি কম আসছে এই ধরনের গুজব দূর করতে টুইট করেছেন। তিনি বলেন, "প্রিয় গ্রাহকগণ, এটা আমরা নিশ্চিত করছি যে আমাদের দেশে খুচরা আউটলেটগুলিতে পেট্রো পণ্যের কোনও ঘাটতি নেই। যেমন দেশের প্রয়োজন সেই অনুযায়ী একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের পরিমাণ। সমস্ত বাজারে জ্বালানির পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে এবং সরবরাহও ঠিকই রয়েছে। আমরা আপনাকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ইন্ডিয়ান অয়েল সর্বদা সঠিক পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল সহ বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকটি জ্বালানির পাম্পে পেট্রোল ডিজেল কম হয়ে যাওয়ার খবর আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে। রাজস্থানের সিকারে, সরকারী পাম্প সহ ৫৭টি পাম্পে পেট্রোল ডিজেল নেই বললেই চলে। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে পাম্পের বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে যেখানে মালিকরা জ্বালানির পাম্পের বাইরে লিকে দিয়েছেন যে 'পেট্রোল উপলব্ধ নেই'। জয়পুরে, ঘাটতির রিপোর্টের পরে পেট্রোল পাম্পে মানুষ ভিড় জমায়। হিমাচল প্রদেশেও একই রকম দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
গুজরাতে আহমেদাবাদে এ নিয়েই ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সৌজন্যে সোশ্যাল মাধ্যমের ভুল খবর। আর তা শুনেই হাজার হাজার মানুষ পেট্রোল পাম্পে ছুটে এসেছিল পেট্রোল পাম্পে। দেখা যায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলার ছবি।
জানা যায় যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সম্ভাব্য ধর্মঘটের গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর তাতেই সে এক অদ্ভুত চিত্র দেখা যায়। যেন মনে হবে দেশে পেট্রোলের আকাল পড়ে গিয়েছে। অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো। এমন খবর মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তাই রাতবিরেতে মানুষ ভিড় জমান শেষ পেট্রোল গাড়িতে সঞ্চয় করে রাখতে। আসলে ঘটনা হল ধর্মঘটের গুজবের।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকের মধ্যেই টুইস্ট! মমতাকে ফোন রাজনাথের
মাঝরাতের দিকে শহরের বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্পে শতাধিক দুই এবং চার চাকার গাড়ি দেখা যায়। এর পাশাপাশি সৌদি আরব ভারতে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও গুজব ছিল।