ছোঁয়া যাবে না ঠাকুর! দুর্গাপুজোর আবহে উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিধি একনজরে
কোভিড আতঙ্কের মাঝে দুর্গাপুজোর সময় উৎসবের মাঝে কোন কোন স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে জানাল কেন্দ্র
সামনেই বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। আর সেই উৎসবের হাত ধরে দেশে বছরের শেষ পর্যায়ের উৎসবের মরশুম শুরু হতে চলেছে। আর এই সময় করোনা থেকে নিজেক মুক্ত রাখতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। এমনই বার্তা সরকারের। এদিন কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, দুর্গাপুজোর আবহে উৎসবের মরশুমে কোন কোন স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। এই নিয়মের তালিকা একনজরে।
কিভাবে আয়োজন করতে হবে ?
করোনার
আবহে
বহু
পুজো
উদ্যোক্তাই
কোন
নিয়মে
পুজো
আয়োজন
করবেন
তা
নিয়ে
উদ্বিগ্ন।
এই
ভাবনা
দূর
করতে
কেন্দ্র
জানিয়েছে,
মন্দির
বা
প্যান্ডেলে
ঢোকার
ক্ষেত্রে
নির্দিষ্ট
কিছু
বিধি
পালনীয়।
বিভিন্ন
সময়ে
নির্দিষ্ট
সংখ্যক
মানুষকে
প্যান্ডেলে
বা
মন্দিরে
প্রবেশ
করতে
দিতে
হবে।
সোশ্যাল ডিসটেন্সিং
সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের নিয়ম মেনে অনুষ্ঠান চত্বরে দাগ কেটে বা গণ্ডি কেটে দিতে হবে। আয়োজনের জায়গায় কেউ অসুস্থতা বোধ করলে, বা কাউকে ঘিরে সন্দেহ হলে যেন তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। ভিড়ের নজরদারিতে ক্যামেরা মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশে। আগে থেকেই পুজোগুলিতে বা উৎসবের আয়োজকদের সোশ্যাল ডিসটেন্সিং নিয়ে পরিকল্পনা ঠিক রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুজোর সময়ের নিয়ম, ছোঁয়া যাবে না মূর্তি
পুজোর সময় কোনও মতেই ঠাকুর, বা পবিত্র বই, ধর্মীয় স্থান মূর্তি ছোঁয়া যাবে না। পুজোর আয়োজনে একসঙ্গে গোষ্ঠীবদ্ধ গান, নাচের অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে না। লঙ্গার বা কমিউনিটি কিচেনে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য বিধি চালু রাখতে হবে।
ডিসইনফেক্টেন্ট প্রয়োগ
ক্রমাগত উৎসবের অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অনুষ্ঠান চত্বরে ডিসইনফেক্টেন্ট ( ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট) দিয়ে পরিষ্কারের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। যেখানে যে এলাকা মানুষ সবসময় ব্বহার করতে পারেন, সেখানে এই বিধি অবশ্যই কার্যকরী করতে হবে। মাস্ক যেন যত্রতত্র নাফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলা হয়, তার বন্দোবস্ত করতে হবে।
কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে
কেউ অসুস্থতা বোধ করলেই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে তিনি যেন মাস্ক না খোলেন। প্রয়োজনে ওই ব্যক্তি যেখানে ছিলেন, সেই এলাকা ডিসইনফেক্টেন্ট করতে হবে।
থাকতে পারবে খাবার দোকান, তবে...
যে এলাকায় অনুষ্ঠান বা পুজো আয়োজিত হবে সেখানে খাবার দোকান, ক্যাফেটেরিয়া থাকবে না। এলাকার বাইরে তা থাকতে পারে। এমনই নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের। ফুড কোর্ট বা খাবার জায়গায় কিভাবে মানুষ বসে খাবেন তারও আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকি মন্দিরের বাইরে চটি খুলে যাওয়ার জন্যও করোনা বিধি মেনে একটি নির্দিষ্ট বন্দোবস্ত করত হবে উদ্যোক্তাদের।
বিহার নির্বাচনের কটি করে আসনে লড়বে বিজেপি-জেডিইউ? সমীকরণ ঘেষণা নীতীশের