প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি, চিনা সামগ্রীর শুল্ক বাড়াতে বণিক সভাগুলিকে চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রকের
প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি, চিনা সামগ্রীর শুল্ক বাড়াতে বণিক সভাগুলিকে চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রকের
লাদাখে চৈনিক আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতে। দিকে দিকে চিনা সামগ্রি বয়কটের রব উঠেছে। তাতে সম্মতি জানিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। সর্বসম্মতিতেই চাই চিনরে ভাতে মারার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। চিন থেকে আমদানি করা সামগ্রির উপর চড়া হারে শুল্ক বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করল ভারত। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বণিক সভাগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাণিক সভাগুলিকে চিঠি
লাদাখে অকারণে উস্কানি এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ভুলতে রাজি নয় ভারত। ২০ জন শহিদ জওয়ানের জববা দিতেই হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। চিনা সামগ্রির উপর চড়া হারে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তার জন্য ইতিমধ্যেই দেশের বণিক সভাগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। অ্যাসোচ্যাম, ফিকি, সিআইই সহ প্রায় একডজন বণিক সভাকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রক।
চিনা সামগ্রিতে চড়া হারে শুল্ক
চিন থেকে আমদানি করা ওষুধ ছাড়া প্রায় সব সামগ্রির উপরেই চড়া হারে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে চিন থেকে প্রায় ৪৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামগ্রি আমদানি করেছে ভারত । ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কম জিনিস আমদানি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতই চিনা সামগ্রির সবচেয়ে বড় বাজার। কাজেই ভারত যদি চিনা সামগ্রির উপর চড়া হারে শুল্ক আরোপ করে তাতে চাপ বাড়বে জিনপিং সরকােরর।
প্রভাব পড়বে ভারতের বাজারেও
ভারতে যেহেতু সবচেয়ে বেশি চিনা সামগ্রি আমদানি করা হয়। তাই হঠাৎ করে চিনা দ্রব্যের উপর শুল্ক বাড়াতে তার প্রভাব পড়বে ভারতের বাজােরও। কারণ এখনও পর্যন্ত একাধিক ক্ষেত্রে চিনা সামগ্রির উপর নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স, ওষুধ, খেলনা, অরগ্যানিক ও নন অরগ্যানিক রাসায়নিক, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম সহ একাধিক ক্ষেত্রে চিনা সামগ্রির উপর নির্ভরশীল ভারত। কাজেই হঠাৎ কলে আমদানি শুল্ক বাড়লে দেশের বাজারও ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছে বণিকসভাগুলি।
চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি
করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকেই ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। গোটা বিশ্ব যখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। ঠিক তখনই হঠাৎ করে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আস্ফালন শুরু করে চিন। গালওয়ান উপত্যকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন।
লাদাখ সংঘর্ষে লালফৌজের হতাহতের সংখ্যা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না চিন, কিন্তু আসল রহস্য কোথায়