ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এলে ‘অন্ধ’ হয়ে যাবেন! সাবধান শত্রু-সেনারা, চমক প্রতিরক্ষায়
এবার ভারতকে চোখ রাঙালে পার পাবেন না শত্রু সেনারা। এমনই এক অস্ত্র এসেছে ভারতের হাতে। ভারতকে রক্তচক্ষু দেখালে ‘অন্ধ’ হয়ে যেতে পারে বিপক্ষ।
এবার ভারতকে চোখ রাঙালে পার পাবেন না শত্রু সেনারা। এমনই এক অস্ত্র এসেছে ভারতের হাতে। ভারতকে রক্তচক্ষু দেখালে 'অন্ধ' হয়ে যেতে পারে বিপক্ষ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই 'অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল' ভারতকে স্বাবলম্বী করে তুলতে আরও একধাপ এগিয়ে দিল। জানুয়ারি মাসেই সুখেই যুদ্ধবিমান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও জানিয়েছে, এই অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। ওড়িশার বালাসোর থেকে অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ হয়। শক্র সেনার মাটিতে রাডার ধ্বংস করাই এই মিসাইলের কাজ। প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হবে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
শত্রুসেনার গতিবিধিতে নজর রাখতে এবং শত্রুর হানা মিসাইল ও জঙ্গিবামানের খোঁজ দিতে যুদ্ধেক্ষেত্রে রাডার অত্যন্ত জরুরি। এই রাডার ধ্বংস হয়ে গেলে 'অন্ধ' হয়ে যায় সেনা। তখন যুদ্ধক্ষেত্রে হাতড়ানো ছাড়া উপায় নেই। আর ভারতের তৈরি এই অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল সফলভাবে রাডার ধ্বংস করে দিতে পারে। ফলে শত্রুপক্ষের 'দৃষ্টি' কেড়ে নিয়ে সহজেই হারের মুখে ঠেলে দিতে পারে এই মিসাইল।
ডিআরডিও আরও জানিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে এই মিসাইল তৈরি করা হয়েছে। এবার থেকে ভারতীয় নৌ-সেনার যুদ্ধজাহাজে মোতায়েন থাকবে অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল। আগ্রাসী চিন ও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েই ভারতীয় প্রতিরক্ষা অনেকটা এগিয়ে গেল বলে মনে করছে ডিআরডিও। সম্প্রতি ফ্রান্সের কাছে থেকে তিন হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল 'মিসাইল টু-টি' কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।