লোকচক্ষুর আড়ালে বিশাল কর্মকাণ্ড, জানুন কী হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের তীরে
কালাপাক্কামে পরমাণু চুল্লির কাজ শেষ মুহূর্তে, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই চুল্লি অনেক বেশি শক্তি উৎপাদনে সমর্থ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের ।
সাধারণ মানুষের অলক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরের তীরে জোরকদমে চলছে এক মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। তাও প্রায় শেষ পর্বে বলা চলে। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জির বিজ্ঞানীরা চেন্নাইয়ের কাছে কালপাক্কামে এই বিরাট পারমানবিক চুল্লি বানানোর কাজ করে চলেছেন। তাঁরা এই পারমাণবিক চুল্লিকে পৌরাণিক অক্ষয় পাত্রের সঙ্গেই তুলনা করছেন বিজ্ঞানীরা।[আরও পড়ুন:ভারতে তৈরি হচ্ছে গোপন 'পরমাণু শহর'! দাবি পাকিস্তানের]
কালপাক্কামে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই পরমাণু চুল্লি প্রথাগত চুল্লির থেকে বেশি কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। তার কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, কালাপাক্কাম পরমাণু চুল্লি হচ্ছে ফাস্ট ব্রিডার রিয়াক্টর। এই ধরণের চুল্লি যত শতাংশ জ্বালানি খরচ করে তার থেকে বেশি জ্বালানি উৎপন্ন করে।[আরও পড়ুন:এই মুহূর্তে কত পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে ভারত? গবেষণা চালাল পাকিস্তান!]
এই ধরণের চুল্লি প্রথাগত পরমাণু চুল্লির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি শক্তি উৎপন্ন করে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারতে গত ২৭ বছর ধরে এরকমই একটি ফাস্ট ব্রিডিং রিয়াক্টর নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আপাতত বিশ্বে ফাস্ট ব্রিডিং রিয়াক্টরের জগতে রাজত্ব করছে রাশিয়া। কালাপাক্কামে তারই মিনি সংস্করণ তৈরি হচ্ছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। উল্লেখযোগ্যভাবে জাপান ও ফ্রান্সও এই ধরনের চুল্লি তৈরি করার কর্মসূচি নিয়েছিল কিন্তু বার বার ব্যর্থ হওয়ার পর তারা ফাস্ট ব্রিডিং রিয়াক্টর তৈরি ছেড়েই দিয়েছে। চিন এখনও ফাস্ট ব্রিডিং রিয়াক্টরের থেকে শত যোজন দুরেই রয়েছে।
ভারতের
বিশেষত্ব
কোথায়
কালাপাক্কামের
পরমাণু
চুল্লিতে
থাকছে
বিশেষ
থোরিয়াম
রড
যা
থেকে
সহজেই
ইউরেনিয়াম
-২৩৩
তৈরি
হতে
পারবে।
ভারতে
ইউরেনিয়ামের
প্রাকৃতিক
ভাণ্ডার
পর্যাপ্ত
না
হলেও
থোরিয়ামের
প্রাকৃতিক
ভাণ্ডারের
বিশ্বে
দ্বিতীয়।
ফলে
এই
পরমাণু
চুল্লি
অন্যান্য
দেশের
তুলনায়
বেশি
শক্তি
উৎপাদনে
সক্ষম
বলে
মনে
করা
হচ্ছে।
কত
তাড়াতাড়ি
এই
পরমাণু
চুল্লি
চালু
করা
যায়
তা
নিয়েই
দিন
রাত
ব্যস্ত
ভারতের
পরমাণু
বিজ্ঞানীরা।