লাদাখ সংঘাতের পারদ চড়ছে ফের! চিনের প্রস্তাব ফিরিয়ে ভারতের কড়া জবাব
পঞ্চম কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকও লাদাখে কার্যত নিষ্ফলা রয়ে গেল। পূর্ব লাদাখে সংঘাতের আবহ কার্যত বজায় রেখে দিল চিনের কূটনীতি। একদিকে যখন দেখা যাচ্ছে লাদাখের বহু জায়গাতে চিন ধীরে ধীরে প্রায় ৩৭ হাজার সেনা রেখে দিয়েছে, সেখানে ফের একবার ডিসএনগেজমেন্টের প্রস্তাব ব্যর্থ হল ।
ভারত যা জানিয়েছে
চিন এর আগে জানিয়েছে, ১৪ সপ্তাহের সীমান্ত সংঘাত শেষ করতে হলে, সেনা সরাতে হবে পূর্ব লাদাখের আরও কিছু এলাকা থেকে। ফলে ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া আরও বাড়াতে হবে। যা মেনে নেয়নি ভারত। ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, লাদাখের বুক থেকে আর সেনা সরাতে পারবে না দিল্লি। সেনা সরানোর প্রস্তাবও অসমর্থনীয়।
এরপর কী গেমপ্ল্যানে ভারত?
এরপর ভারত চাইছে সরকারি তরফে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। দিল্লি থেকে ছাড়পত্র এলেই তবে চিনের প্রস্তাব নিয়ে ভারত সরাসরি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবে। তবে তার আগে চিনের তরফে স্পষ্ট বার্তা যাতে আসে , তার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
চিনের অসমর্থনীয় 'আবদার'!
চিন দাবি করেছিল যে , আগে ভারত সেনা সরাবে পূর্ব লাদাখ থেকে , তারপর চিন সেনা সরাবে। আর বেজিং এর এই কূটনৈতিক প্যাঁয়তারায় আস্থা রাখতে পারেনি দিল্লি। সরাসরি ভারত জানিয়ে দেয় যে , আগে ভারত কিছুতেই সেনা লাদাখ থেকে সরাবে না।
মলডোর বৈঠক
রবিবার হাইভোল্টেজ বৈঠক ছিল মলডোতে। সেখানে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চেল পঞ্চম দফার সেনা স্তরের বৈঠক। যার জেরে, আশার আলো দেখেছিল অনেকেই। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মনে করা হচ্ছে মলডোর বৈঠকের পর এবার চিন ভারত কূটনৈতিক আরও একটি বৈঠক হবে।
কেন সমস্যা হচ্ছে?
উল্লেখ্য, লাদাখে আগে পিপি ১৪, পিপি ১৫, পিপি ১৭, পিপি ১৭ এ সমান পর্যায়ে সেনা সরানোর কথা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, চিন ও ভারত দুটি দেশই সমানস্তরে সেনা সরিয়ে নিতে চায়। এমন অবস্থায় পরবর্তী বৈঠকে চিন দাবি করছে, আগে ভারত সেনা সরাবে , তারপর চিন সরাবে। যা মেনে নিতে পারেনি দিল্লি।