ভবিষ্যতে 'ডোকলাম' এড়াতে দ্রুত সীমান্ত সড়ক তৈরির সিদ্ধান্ত
ডোকলাম থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত সরকার। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে চিন ভারত সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় সীমান্ত-সড়ক নির্মাণে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। ২০২১-এর মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা
ডোকলাম থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত সরকার। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে চিন ভারত সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় সীমান্ত-সড়ক নির্মাণে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। ২০২০-২১ সালের মধ্যেই এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
ভারত-চিন সীমান্তের ৬১টি রাস্তার মধ্যে দুই থেকে তিনটি বাদ দিলে, ২০২১ সালের মধ্যে সবকটির কাজ শেষ করে ফেলবে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। এর মধ্যে কোনও কোনও রাস্তার কাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই সীমান্ত সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় টাকাও বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
গত দু-তিন বছর ধরেই ভারত-চিন সীমান্তের রাস্তা তৈরিতে গতি এসেছে। ২০১৪-১৫ সালে পাহাড়ের পথে রাস্তা কাটা হয়েছে ১০৭ কিমি এবং ২০১৬-১৭ সালে ১৪৭ কিমি। একইভাবে ২০১৪-১৫ সালে রাস্তা তৈরি হয়েছিল ১৭৪ কিমি এবং ২০১৬-১৭ সালে তৈরি হয়েছে ২৩৩ কিমি।
ভারত-চিন সীমান্তে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাস্তা তৈরিতে সময় পাওয়া যায় ৪ থেকে ৬ মাস। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ৩৪০০ কিমি সীমান্তে ৬১ টি রাস্তার মধ্যে মাত্র ২৭০ কিমি অংশের রাস্তা কাটার কাজ বাকি আছে। অর্থাৎ এই অংশের কাজ হয়ে গেলেই রাস্তার মাধ্যমে ভারত-চিন সীমান্তের ১০০ শতাংশ অংশে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ৬১ টি রাস্তার মধ্যে ২৭টির কাজ সম্পূর্ণ। বাকি ৩৪ টির মধ্যে ২১টির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে রসদ পৌঁছে দিতেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন অর্থাৎ দুর্গম পাহাড়ে রাস্তা তৈরিতে কৌশলগত কারণকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে সীমান্তে বসবাসকারী ভারতীয়রা বেশি আয়ের আশায় চলে যাচ্ছেন চিনে দিকে। সেই দিকটিও চিন্তায় রেখেছে ভারত সরকারকে। সীমান্ত সড়ক নির্মাণ তৈরির মাধ্য়মে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে সীমান্তে বসবাসকারী ভারতীয়রাও আয়ের পথ খুঁজে পাবেন বলে মনে করছে কেন্দ্র।
মাত্র ২৭ টি সড়কের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণ নিয়ে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের সমালোচনার মুখে পড়েছিল কেন্দ্র। এরপর গত কয়েক বছরে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজে গতি এসেছে বলে দাবি সরকারি সূত্রের।