একধাক্কায় ৩০ গুণ তাপপ্রবাহ বেড়েছে ভারতে! ভয়ঙ্কর উদ্বেগের বার্তা আবহাওয়াবিদদের
ভারতে এবার মার্চ মাস থেকেই গরম পড়তে শুরু করেছে। সরকারি তথ্য বলছে গত ১২২ বছরে সবথেকে গরমের মাস ছিল সেটি। শুধু ভারতেই নয়, পাকিস্তানেও ক্রমশ গরম বাড়তে শুরু করেছে। মৌসম মরশুমের হঠাত এমন পরিবর্তন খোদ আবহাওয়াবিদদের উদ্বেগে ফেল
ভারতে এবার মার্চ মাস থেকেই গরম পড়তে শুরু করেছে। সরকারি তথ্য বলছে গত ১২২ বছরে সবথেকে গরমের মাস ছিল সেটি। শুধু ভারতেই নয়, পাকিস্তানেও ক্রমশ গরম বাড়তে শুরু করেছে। মৌসম মরশুমের হঠাত এমন পরিবর্তন খোদ আবহাওয়াবিদদের উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে।
এখন অনেক দেশের আবহাওয়াবিদরা এক গবেষণায় বলেছেন, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এসব নাকি ঘটছে। আর এই সবের মধ্যেই ভারত এবং পাকিস্তানে এই ধরনের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা ৩০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে।
২৯ জন বিজ্ঞানী একটি গবেষণা চালান
সংবাদ সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স, আমেরিকা, ব্রিটেন সহ একাধিক দেশের ২৯ জন বিজ্ঞানী একটি গবেষণা চালান। তাঁদের র্যাপিড অ্যাট্রিবিউশন স্টাডি'তে কার্যত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য বলছে হঠাত করে পরিবেশে'র এমন বদলের সম্ভাবনা ৩০০০ সালের মধ্যে গড়ে এক বার হয়ে থাকে। তবে মানুষের কাজের কারণে যখন থেকে জলবায়ু পরিবর্তন শুরু হয়, তখন থেকে বিশ্বের তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। প্রচন্ড গরমের ব্যবধান এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে খবর।
আরও ভংকর হয়ে উঠবে
দক্ষিণ এশিয়াতে এমন অবস্থা প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে একবার হতে হয়। ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন কনসোর্টিয়াম জানাচ্ছে, যদি পৃথিবী এভাবেই গরম হতে শুরু করে তাহলে প্রাণঘাতী এই হিটওয়েভের সময়সীমা আরও কমতে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, যদি কোনও ভাবে এই তাপমাত্রা এক-চতুর্থাংশ ডিগ্রী আরও বেড়ে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত যদি বেড়ে যায় তাহলে এই ধরণের হিট ওয়েভ প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর আরও ভংকর হয়ে উঠবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।
নুন্যতম ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে
TOI-এর প্রকাশিত খবর মোতাবেক, বিজ্ঞানীদের দাবি, ভারত এবং পাকিস্তানে সময়ের আগেই শুরু হওয়া হিটওয়েভের কারণে নুন্যতম ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ এবং এপ্রিলেই এহেন প্রচন্ড গরমের কারণে ভারতে ৭০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ৩০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এই কারণে প্রি-মনসুন বৃষ্টি'র পরিস্থিতি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা। যদিও ভারতে সামান্য'র থেকে ৭১ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। আর তা পাকিস্তানে ৬২ শতাংশ কম হয়েছে। আর এর কারণে ভারতে ফসলে খারাপ প্রভাব পড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও সঙ্কটজনক করে তুলেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোটা বিশ্বেই যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও সঙ্কটজনক করে তুলেছে। বিপদ আরও দ্রুত বাড়ছে বলেই আশঙ্কা। এই গবেষণাতে আইআইটি দিল্লির সেন্টার ফর ইনফরমেটিক সায়েন্সের প্রফেসার কৃষ্ণা অচুতা রাও রয়েছেন। আর তিনি জানাচ্ছেন, ভারত ও পাকিস্তানে তাপমাত্রা উচ্চ মাত্রায় পৌঁছানো স্বাভাবিক কিন্তু এবার তা খুব তাড়াতাড়ি অপ্রত্যাশিতভাবে শুরু হয়েছে। এবং এর প্রভাব অনেক দূর পর্যন্ত থাকবে বলে আশঙ্কা।