বিশ্ব 'প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে' আরও কয়েক ধাপ নেমে ১৫০ এ ভারত
বিশ্ব 'প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে' আরও কয়েক ধাপ নেমে ১৫০ এ ভারত
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) দ্বারা প্রকাশিত বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স২০২২ এ ভারতের র্যাঙ্কিং আরও কয়েক ধাপ নীচে নামল! গত বছর বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৪২ নং ছিল ভারত৷ সেখান থেকে বেশ কয়েক ধাপ নেমেছে দেশটি৷ বিশ্বের ১৮০ টি দেশে সাংবাদিকতার অবস্থা মূল্যায়ন করে আরএসফ। সংস্থাটি মঙ্গলবার বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স প্রকাশ করেছে। যেখানে ভারতের অবস্থান পড়ে যাওয়া নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে!
আরএসএফ-এর সমীক্ষায় সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক স্থানগুলির একটি হল ভারত!
প্রতি বছর ৩ মে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ডে পালন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকতার মূল্যায়নের জন্য এই দিনটিকে বেছে নেয় আরএসএফ৷ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স প্রতিটি দেশে সাংবাদিক ও সংবাদ সংস্থার স্বাধীনতার মাত্রা তুলে ধরা হয়। ২০২১ সালের রিপোর্টে, ভারত ১৮০ টি দেশের মধ্যে ১৪২ তম স্থানে ছিল এবং সাংবাদিকতার জন্য 'খারাপ' এবং সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানগুলির মধ্যে বিবেচিত দেশগুলির মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
কিন্তু কেন এমনটা হল?
মূলত ইংরাজি ঔপনিবেশিকতা বিরোধী আন্দোলনের সময় ভারতীয় সংবাদপত্রগুলিকে মোটামুটি প্রগতিশীল হিসাবে দেখা হত। কিন্তু এরপর ভারতের স্বাধীনতার পরও একটা বড় সময় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সমীহই করত বিশ্ব৷ তবে ২০১০ -এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই জিনিসগুলি আমূল বদলে যায়৷ আরএসএফ রিপোর্টে এরকমটাই বলা হয়েছে৷ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতে ১ লক্ষের বেশি সংবাদপত্র (৩৬০০০ সাপ্তাহিক সহ) এবং ৩৮০টি টিভি নিউজ চ্যানেল কাজ করছে।
রিপোর্টে আরও যা বলা হয়েছে!
আরএসএফ-এর প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে বর্তমানে ১৩জন সাংবাদিক কারাগারে রয়েছে এবং ১ জানুয়ারিতে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, 'প্রতি বছর ভারতে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত গড়ে তিন বা চারজন সাংবাদিক নিহত হন। ভারত মিডিয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি। সাংবাদিকরা পুলিশি সহিংসতা, রাজনৈতিক কর্মীদের দ্বারা অতর্কিত হামলা সহ সমস্ত ধরণের শারীরিক সহিংসতার মুখোমুখি হন, এবং সত্য উন্মোচন করতে গিয়ে অপরাধী গোষ্ঠী বা দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা মারাত্মক প্রতিশোধের সম্মুখীন হল!
মহিলা সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়!
মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও হত্যা চালানোর জন্য ভয়ঙ্কর এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচার চালানো হয়। এই ধরনের প্রচারণাগুলি প্রায়ই আরও বেশি হিংসাত্মক হয় যখন তারা নারী সাংবাদিকদের টার্গেট করে, হিংসা ছাড়াও তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে পোস্ট করা হয়, প্রতিশোধ নিতে!'