প্যাংগংয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি চিনা সেনার, জবাবে আরও সেনা ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন ভারতের
পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার এলাকার আরও সেনা মোতায়েন করা শুরু করল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। সূত্রের খবর, ৭ সেপ্টেম্বর প্যাংগং লেকের দক্ষিণে দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ের পরেই সেনা মোতায়েন করতে শুরু করে চিনা সেনা। সরকারি সূত্র বলছে , এই মুহূর্তে উভয় পক্ষের সেনা একে অপরের থেকে অল্প দূরত্বে রয়েছে৷ ভারতীয় সেনা তাদের কর্মকাণ্ডে গভীর নজর রাখছে৷
জবাবে ভারতও লাদাখে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে
বাড়তি চিনা সেনা মোতায়েনের জবাবে ভারতও লাদাখে অতিরিক্ত সেনা এবং সমর সজ্জা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গিয়েছে সীমান্ত বরাবর ট্যাঙ্ক এবং ইনফ্যান্ট্রি কম্ব্যাট ভেহিকেল মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। প্যাংগংয়ের দক্ষিণে ভারতীয় সেনার পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
প্যাংগংয়ে প্রায় ৬ হাজার চিনা সেনা
এদিকে জানা গিয়েছে চিনও প্যাংগং এলাকায় নিজেদের ৫ থেকে ৬ হাজার সৈন্য মোতায়েন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছে। ভারতীয় সেনার অধীনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ চূড়াগুলি দখলের উদ্দেশ্যেই সেখানে সৈন্য বহর বাড়াচ্ছে পিএলএ। তাছাড়া ট্যাঙ্ক স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করেছে চিন। পুরদস্তুর যুদ্ধের জন্যে তৈরি হচ্ছে তারা।
লাদাখের খুব কাছেই রয়েছে চিনের আরও ৫০ হাজার সেনা
জানা গিয়েছে চিনের তরফে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে প্যাংগং এলাকায়। শুধু তাই নয়, লাদাখের খুব কাছেই চিনের ৫০ হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া লাদাখের দিকে তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছে চিনা আর্টিলারি। ১৫০টি যুদ্ধবিমানও লাদাখের খুব কাছে মোতায়েন করেছে চিন। তাছাড়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে লাদাখ সীমান্ত বরাবর।
উভয় পক্ষের সেনা একে অপরের থেকে অল্প দূরত্বে রয়েছে
মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মি সেনা মোতায়েন আরও বাড়তে শুরু করে এবং তারা আরও উপকরণ ও রসদ সরবরাহ করছে। উল্লেখ্য, একটি ছবি সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে চিনের সেনা জওয়ানরা হাতে লাঠি-ছোরা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কারও কারও পিঠে রাইফেলও রয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে উভয় পক্ষের সেনা একে অপরের থেকে অল্প দূরত্বে রয়েছে৷ ভারতীয় সেনা তাদের কর্মকাণ্ডে গভীর নজর রাখছে৷
গালওয়ান সংঘর্ষ থেকেই উত্তেজনা বাড়ে সীমান্তে
মাস কয়েক আগেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনাকে লক্ষ করে হামলা চালিয়েছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। ঘটনায় শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান৷ সেই ঘটনায় ভারতীয় সেনার জবাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন চল্লিশের বেশি চিনা সেনা। এরপরেও ৭ সেপ্টেম্বর ফের উতপ্ত হয়ে ওঠে লাদাখ৷
গুলি চলে সীমান্তে
সেদিন রাত থেকেই দুই সেনার পক্ষ থেকেই গুলিচালানোর ঘটনা সামনে আসে। চিনা আর্মির হামলার সঠিক জবাব দেয় ভারত। যদিও চিনের দাবি, ভারতের তরফ থেকেই প্রথম হামলা চালানো হয়। যদিও চিনের এই অভিযোগ উড়িয়ে ভারতীয় সেনার দাবি, বিনা প্ররোচনায় চিনা আর্মি গুলি চালাতে শুরু করে। যেভাবে মাস কয়েক আগে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়ে ছিল চিন, সেভাবেই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু, ভারতীয় সেনা দক্ষতার সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করে।
চিনা বিস্তারবাদে ভারতের স্পিডব্রেকারেও বদলাচ্ছে না পরিস্থিতি! আগ্রাসনের পথেই হাঁটছে পিএলএ