এবার লাদাখ ইস্যুতে চিনের উপর পাল্টা চাপ ভারতের! LAC-তে অ্যাডভান্টেজে সেনা, ফায়দা তুলছে দিল্লি
এলএসি নিয়ে উত্তাপ এখনও কমেনি। যদিও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার পর শান্তি ফেরার অল্প সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। এহেন আবহেই ফের চিনকে হুঁশিয়ার করে দিল ভারত। পাশাপাশি চিনের কাছে নয়া দাবি রেখেছে দিল্লি। মূলত প্যাংগংয়ের চূড়ায় ভারতীয় সেনার উপস্থিতি অ্যাডভান্টেজে রাখাতেই চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে পারছে দিল্লি।

দুই দেশের আলোচনার নয়া রূপরেখা
ভারতের স্পষ্ট দাবি, এবার থেকে দুই দেশের আলোচনায় শুধু একটি বা দুটি বিতর্কিত জায়গা থেকে সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা হওয়া ঠিক নয়। বরং সীমান্তে যেভাবে বিপুল সেনা মোতায়েন করে যাচ্ছে চিন, তাতে সমস্ত বিতর্কিত জায়গা নিয়েই আলোচনায় বসতে চাইছে ভারতীয় সেনা।

ডেপসাঙে উত্তেজনার পারদ
গালওয়ানের পর পূর্ব লাদাখের ডেপসাঙে ক্রমেই চড়েছিল উত্তেজনার পারদ। প্যাংগং, গোগরাকে নজরে রেখে, লাদাখে শান্তি ফেরানোর উদ্দেশ্যে সেনা বৈঠক হলেও সুরাহা মেলেনি। মূলত এলএসি বরাবর ফের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চালু করার একটি রূপরেখা তৈরি করাই ছিল এই বৈঠকের লক্ষ্য। তবে সেই বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি।

আকসাই চিন এলাকায় পিএলএ-র বাড়বাড়ন্ত
জানা গিয়েছে আকসাই চিন এলাকায় পিএলএ-র তরফে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আর সেই হুমকি রুখতেই ভীষ্ম টি৯০ ট্যাঙ্কের এর একটি স্কোড্রন, অর্থাৎ ১২টি ট্যাঙ্ক সেখানকার সীমান্ত রক্ষার লক্ষ্যে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় সেনা। এছাড়া ৪০০০ জন সৈনিকের একটি আস্ত ব্রিগেডও সেখানে ডিবিওতে মোতায়েন করেছে ভারত। প্রসঙ্গত, এই নতুন ব্রিজ তৈরি হওয়াতে ডিবিওতে সড়ক পথে ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া আরও সহজ হয়ে যাবে।

বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরানোর জন্য কথাবার্তা
বিতর্কিত এলাকা থেকে দুই দেশের সেনাকেই সরারোর কথা বলেছে ভারত। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, প্যাংগংয়ের দক্ষিণ প্রান্ত নিয়ে চিন বেশি সরব। সেখানের বিভিন্ন চূড়ার দখলে রেখেছে ভারত। এদিকে চিনের দাবি, সেনা সরানোর বিষয়ে প্রথমে ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। উল্লেখ্য, তাদের এই দাবি আগেও ছিল।

দিল্লির বার্তা
এর আগে গতকালই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব দাবি করেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় লাদাখে স্থিতাবস্থা ফেরানোর জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। প্রসঙ্গত, মলডোতে অনুষ্ঠিত ভারত-চিন সেনা কমান্ডার স্তরের বৈঠকে উপস্থিতছিলেন অনুরাগ শ্রীবাস্তব। গ্রাউন্ড জিরোতে কী পরিস্থিতি, তা বুঝতেই সেখানে অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে পাঠিয়েছিল দিল্লি।

বেজিংয়ের একগুঁয়ে মনোভাব
যদিও সূত্রের খবর, মলডোর আলোচনায় চিনের পক্ষ থেকে তাদের একগুঁয়ে মনোভাব বজায় রাখা হয়েছে। পূর্ব লাদাখে তারা যে অবস্থানে রয়েছে সেখান থেকে সেনা না সরাতে অনড় চিন। প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়, ডেসপাং ও হট স্প্রিং এলাকায় চিনারা যেখানে অবস্থান, সেখান থেকে যে কোনও প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে সেনা সরানোর প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে তারা।
বাংলায় প্রভাব বাড়ছে এআইএমআইএম-এর, ২১-এর আগে বিহার ভোটে সেমিফাইনাল খেলবেন ওয়েইসি