বড় রাজ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনার থাবা বাড়ছে ছোট রাজ্যগুলিতেও, নেপথ্যে কী কারণ
বড় রাজ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনার থাবা ছোট রাজ্যগুলিতেও, বাড়ছে উদ্বেগ, নেপথ্যে কি কারণ
ইতিমধ্যেই গোটা দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখেও গোটা বিশ্বের মধ্যে নিত্য-নতুন রেকর্ড গড়ছে গোটা দেশ। এদিকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে দেশের বড় রাজ্য গুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছোট রাজ্য গুলিতেও থাবা বসাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা।
কোন ছোট রাজ্য গুলিতে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ?
এদিকে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্র,কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখতে পাওয়া গেলেও সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে অন্যান্য ছোট রাজ্যে গুলিতেও বিশালাকারে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মণিপুর, পুডুচেরি, লাদাখ, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, দমন এবং দিউ সহ সবকটি রাজ্যতেই উল্লেখযোগ্যভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
করোনা মুক্ত লাক্ষাদ্বীপ
এরমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের হারও উল্লেখযোগ্য রকম ভাবে বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ভারতে সবচেয়ে কম সংখ্যক করোনা কেস রয়েছে বলে খবর। সেখানেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ২২১ জন সংক্রামিত হয়েছেন। পাশাপাশি দেশের একমাত্র অঞ্চল হিসাবে লাক্ষাদ্বীপ এখনও কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ছোট রাজ্য গুলির কোথায় কত করোনা আক্রান্ত ?
এদিকে গোয়ায় এখনও পর্যন্ত ৪,০০০ জনের বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। ত্রিপুরায় এই সংখ্যা প্রায় ৩,৫০০। মণিপুর ও পুডুচেরি এই সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এমনকি দমন ও দিউ-তে প্রায় ৪০০ টি করেনা কেস রয়েছে বলে সরকারি পরিসংখ্যান মোতাবেক জানা যাচ্ছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরেই কি করোনার বাড়বাড়ন্ত ?
এদিকে এই রাজ্যের কোনওটিতেই জনাবহুল মহানগর নেই যেখানে সহজেই ঘাঁটি গাড়তে পারে প্রাণঘাতী করোনা। কারণ এই রাজ্যগুলির বেশিরভাগ জায়গাতেই জনঘনত্ব খুবই। সেই সঙ্গে শহরাঞ্চলও সীমিত। কিন্তু বর্তমানে মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাইয়ের মতো বড় শহর গুলির করোন সংক্রমণের মতো এই রাজ্য গুলিতেও করোনার উচ্চগতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। ওযাকিবহাল মহলের ধারণা এই রাজ্য গুলিকে কাজের তাড়নায় হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর মুম্বই, কলকাতা, দিল্লি মতো বড় শহর গুলিতে ছুঁটে যায়। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে দলে দলে সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরে আসার পরেই এই রাজ্য গুলিতে সহজেই নিজের করাল থাবা বসাতে পেরেছে করোনা।
বর্তমান সময়কে কি ইতিহাস মনে রাখবে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে চলা দ্বিতীয় 'কোল্ড ওয়ার' হিসাবে