করোনা টেস্টের হার বাড়লেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ভুয়ো নেগেটিভের সংখ্যা, উদ্বেগ আইসিএমআরের
করোনা টেস্টের হার বাড়লেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ভুয়ো নেগেটিভের সংখ্যা, উদ্বেগ আইসিএমআরের
দেশজুড়ে
ক্রমশ
করোনা
তান্ডব
বাড়লেও
আশার
কথা
এই
যে,
কোভিড
পরীক্ষাও
তুলনামূলকভাবে
বেড়েছে।
তার
মধ্যেও
চিন্তা
বাড়াচ্ছে
ভুয়ো
নেগেটিভের
সংখ্যা।
অনেক
ব্যক্তিই
অ্যান্টিজেন
পরীক্ষায়
প্রথমে
করোনা
নেগেটিভ
ধরা
পড়লেও
পরে
তাদের
পজেটিভ
প্রমাণিত
হওয়ার
নজিরও
দেখা
যাচ্ছে।
এছাড়াও
ভারতীয়
স্বাস্থ্য
গবেষণা
কেন্দ্র(আইসিএমআর)-এর
নিদান
অনুযায়ী,
আরটি-পিসিআর
দ্বারা
পরীক্ষা
না
করায়
করোনা
রিপোর্টে
থেকে
যাচ্ছে
গলদ।
গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে
আইসিএমআরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, "ক্রমাগত অসংলগ্নভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জেরে পরীক্ষার হার বাড়লেও আমাদের চিন্তার অন্যতম প্রধান কারণ ভুয়ো করোনা নেগেটিভরা। আইসিএমআরের বিধি অনুযায়ী, আরটি-পিসিআর কিট দিয়ে পরীক্ষার কথা থাকলেও সঠিকভাবে তা হচ্ছে না, ফলত প্রবলতর হচ্ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা।" চিকিৎসকদের মতে, যেসকল রাজ্যে করোনা পরীক্ষার হার বাড়লেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি কম, সেই সকল রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল।
দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মোট পরীক্ষার প্রায় ৬০% ক্রমাগত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উপায়ে করা হচ্ছে। দিল্লি ও মহারাষ্ট্র কয়েকগুণ বাড়িয়েছে পরীক্ষার সংখ্যা। যদিও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা গবেষণাগার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে করা যায় বলে অনেকটাই সুবিধাজনক, কিন্তু এর ফলাফলের বিষয়ে ১০০% নিশ্চিত হওয়া উচিত নয়। ফলত আইসিএমআরের গবেষকদের সিদ্ধান্তের মতে, অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় করোনা পজেটিভদের পজেটিভ হিসেবে ধরে নিলেও এই পরীক্ষায় নেগেটিভ বলা শনাক্ত ব্যক্তিদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাওয়াটা বাধ্যতামূলক।
দিল্লিতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ১৮% ত্রুটিপূর্ণ
ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে 'রেফার'-এর ধাক্কায় পথেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে আকছার। আইসিএমআরের বিধি অনুযায়ী আরটি-পিসিআর পরীক্ষা না করানোর ফলে যে সংক্রমণ বাড়ছে, তা স্বীকার করেই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে পরিস্থিতি ক্রমশ তাঁদের আওতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আইসিএমআরের এক আধিকারিকের কথায়, "দিল্লিতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভদের প্রায় ১৮% আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় পজেটিভ বলে ধরা পড়েছেন।" তিনি আরও জানান যে, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য প্রায় আরও ১২০০টি ল্যাবকে প্রাথমিকভাবে প্ৰস্তুত করা হয়েছে।
জুলাইয়ের প্রথম দু'সপ্তাহে পরীক্ষিতদের ৮-৯% পজেটিভ
আইসিএমআরের বিবৃতি অনুযায়ী, জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহে পরীক্ষিতদের ৮-৯% পজেটিভ এলেও তারপর থেকে প্রত্যহ পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সহজে পরীক্ষা করা সম্ভব বলে কন্টেনমেন্ট ক্ষেত্রগুলিতে ১৪ই জুন থেকে ক্রমাগত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার নিদান দিয়েছে আইসিএমআর। আইসিএমআরের নির্দেশিকা বলছে, উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিরা অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ বলে প্রমাণিত হলেও তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক।
কোন ধরনের 'এন ৯৫' মাস্ক থেকে বিপদ আসতে পারে! সরকারি সতর্কতায় কী বলা হচ্ছে