৫০ হাজারের গণ্ডির সামনে ভারতের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ! পরিসংখ্যান একনজরে
ক্রমেই দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ১৫ লাখ পার করেছে দেশের করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা। এদিকে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাতেও প্রবল উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। দিনে দিনে হু হু করে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, ভ্যাকসিন এখনও বাজারে না আসায় আশঙ্কা উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন মোদী।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া
২৯ জুলাই রাতে দেখা যাচ্ছে ভারতে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারের কাছাকাছি। ২৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ দেশের শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তদের সংখ্যা ৪৯, ৬৩১ জন। ৩৫,৬৮৩ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন। শেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৮ জুলাইয়ের পরিসংখ্যান
২৭ জুলাই রাত পোহাতেই এক ধাক্কায় সাড়ে ১৫ লাখের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৯,০০০। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ৩১ হাজার।
সকালের পরিসংখ্যান
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭৬৮ জন। যার জেরে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪,১৯৩ জন। যদিও ৩ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার কমছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভারতে এখন অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৫,০৯,৪৪৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৯,৮৮,০৩০ জন।
মহারাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে ৪ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত। ১৪ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে । সংক্রমণের জেরে মহারাষ্ট্রে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে।
আর কোন কোন রাজ্য করোনা সংক্রমণে এগিয়ে?
করোনা সংক্রমণে মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে আক্রান্ত ২ লাখের বেশি, এরপর দিল্লি, সেখানে ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত। এঅরপর অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান
পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬২,৯৬৪ জন। ২৯ জুলাইরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেখা গিয়েছে শেষ ২৪ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ২২৯৪ জন। উল্লেখ্য, এদিন বিশিষ্ট চিকিৎসক রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন , যেদিকে পরিস্থিতি এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে অগাস্ট মাসেই করোনা পরিস্থিতি কলকাতায় নিয়ন্ত্রিত হবে।