এখনও চিনা সেনার চোখ রাঙানি লাদাখের উপর, দু'টি সেক্টরে সেনা সরানো নিয়ে বৈঠক দুই দেশের
লাদাখে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেও এখনও পশ্চিম এবং উত্তরে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। গোগরা এবং হটস্প্রিং এলাকায় শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে এবং সেনা প্রত্যাহার করার উদ্দেশ্যে শুক্রবার বৈঠকে বসে দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা। এবং সেই বৈঠকের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এদিন বিবৃতি জারি করে জানায়, দুই দেশই দ্রুত সব সমস্যা নিষ্পত্তি করার পক্ষে। সব প্রোটোকল মেনে এই এলাকায় শান্তি ফেরাবো হবে।
উল্লেখ্য, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুই মত সহমত হওয়ার পরে প্রায় দুই মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু প্যাংগং হৃদের দক্ষিণ ছাড়া অন্যত্র উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি। দফায় দফায় বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এই আবহে ৯ এপ্রিল বৈঠকে বসে দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা।
এদিকে প্যাংগংয়ের দক্ষিণ প্রান্তে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও এই এলাকা নিয়ে চাপানউতোর বজায় রয়েছে। সেনা প্রত্যাহারের পরে আপাতত ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৩ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাকে 'বাফার জোন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিবাদ সম্পূর্ণ ভাবে না মেটা পর্যন্ত কোনও দেশের সেনাই সেখানে টহল দিতে পারবে না। এত দিন ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত ভারতের অধীনে ছিল। নয়া চুক্তিতে সেই ফিঙ্গার ৪ এলাকা কার্যত ছেড়ে দিতে হয়েছে ভারতকে।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার গোগরা, হট স্প্রিং এবং দেপসাঙে এখনও সেনা প্রত্যাহার করা হয়নি চিনের তরফে। এই এলাকাগুলি নিয়ে এখনও যে বিবাদ রয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। ছাড়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ডেপসাং বালজে টহলদারির ইস্যুটি নিয়েও আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। এই এলাকাটি নিয়ে ভারত-চিন বিবাদ ২০১৩ সাল থেকে।