লাদাখের আঁচ দক্ষিণ চিন সাগরে! ভারতের বাণিজ্য ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকা?
সাগরের নামটা দক্ষিণ চিন সাগর। তবে আদতে এই পুরো সমুদ্রটা এটা চিনের নিজেস্ব জলসীমা নয়। বিগত বহু শতক ধরেই এই জলসীমায় ভারত বাণিজ্য করে এসেছে। তবে এই এলাকায় চিনের একছত্র আধিপত্য।

চিনের একগুঁয়ে মনোভাব
দিল্লি যখন জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের বিতর্কিত অংশ নিয়ে নিয়ে তাদের অবস্থান বদলায়নি, তেমনই চিনও দক্ষিণ সাগরে সেই পথই অনুসরণ করেছে, এবং বিতর্কিত জলসীমায় নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করেছে। তবে এই এলাকায় চিনকে ফুলে ফেপে ওঠার থেকে আটকায় আমেরিকা।

ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার ভারসম্য
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী এক নথিতে লিখেছেন, আসিয়ানের পক্ষে চিন ও আমেরিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার বেশিরভাগ দেশ আমেরিকার কাছ থেকে নিরাপত্তার সুবিধা পেয়েছে- একই সঙ্গে চিনের আর্থিক উন্নতির সুবিধাও লাভ করেছে।

বেজিংয়ের সঙ্গে সামরিক ও আর্থিক ভারসাম্যহীনতা কমানো
দক্ষিণ এশিয়ায় সুস্থিতি বজায় রাখতে ও নিজেদের সুরক্ষার জন্যই ভারতের উচিত বেজিংয়ের সঙ্গে সামরিক ও আর্থিক ভারসাম্যহীনতা কমানো। আদতে লাদাখে ভারতের সঙ্গে এই পেশি দর্শনের লড়াইের নেপথ্যে রয়েছে চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ক্ষমতা ও তা ব্যবহার করার রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা।

ভারতকে ঘিরে রেখেছে চিন
এদিকে ভারত দক্ষিণ চিন সাগর বা ভারতীয় মহাসাগর এলাকায় নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করলে তা চিনের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চিন ইতিমধ্যেই সমুদ্র সীমানার দিক দিয়ে ভারতকে ঘিরে রেখেছে। শ্রীলঙ্কায় যেমন একটি বন্দর চিনের হাতের মুঠোয়। তেমনই পাকিস্তানের গাদাওয়ার পোর্টটি চিনের। এই দুটির সাহায্যে চিন ভারতের জলসীমাতেও হস্তক্ষেপ করতে পারে।

লাদাখের আঁচ দক্ষিণ চিন সাগরে
লাদাখের এই অস্থির পরিস্থিতি আদতে চিনের ইন্দো-প্যাসিফিকে নিজেদের প্রভাব বর্ধনের চেষ্টা হতে পারে বলে মত আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের। যদিও জম্মু কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বদলের ঘটনাকে তাদের আগ্রাসী পদক্ষেপের যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছে চিনা প্রতিষ্ঠানগুলি।

গালওয়ানে কী হয়েছিল সোমবার রাতে! ৩ ভারতীয় সেনার শহিদ হওয়ার নেপথ্যে কোন কারণ?