ফের সীমান্তে চিনা উস্কানি! লাদাখে পিএলএ-র ৩৫০ ট্যাঙ্কের চোখ রাঙানি, প্রস্তুত ভারতও
লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরাতে পরপর আলোচনায় বসছে ভারত ও চিনা সেনার কর্তারা। তবে এরই মাঝে সীমান্তে ফের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করছে চিনের পিএলএ। জানা গিয়েছে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছেই চিনের সেনা ভারতীয় সেনাকে উত্তক্ত করতে ট্যাঙ্কের মহড়া চালাচ্ছে। তাছাড়া ক্রমশ সেনার শক্তি বাড়াচ্ছে চিন।
ডেপসাঙ ও প্যানগংয়ের সাউথ ব্যাঙ্কে মোতায়েন চিনের ৩৫০ ট্যাঙ্ক
সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, তাতে দেখা যায় যে প্রচুর চিনা সেনা যুদ্ধের প্রস্তুতি করছে। তাছাড়া সেখানে বহু ট্যাঙ্কও দেখা যায়। জানা গিয়েছে লাদাখ সীমান্তে চিনের তরফে কম করে ৩৫০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মোতায়েন করা ট্যাঙ্কগুলি 'টাইপ ৯৯'-মডেলের। মূলত ডেপসাঙ ও প্যানগংয়ের সাউথ ব্যাঙ্কে মোতায়েন করা হয়েছে এই ট্যাঙ্কগুলিকে।
মলডো-চুশুল সীমান্তে বৈঠকে মিলিত হন ভারত ও চিনের সেনা কর্তারা
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ২৪ জানুয়ারি চিনের ভূখণ্ড মলডো-চুশুল সীমান্তে বৈঠকে মিলিত হন ভারত ও চিনের সেনা কর্তারা। ১৫ ঘণ্টা ধরে চলা ম্যারাথন বৈঠকে দু'পক্ষই নরম মনোভাব দেখিয়েছে এবং সমঝোতার পথে ঐক্যমত্য হয়েছে।
ডি-এসকেলেশনের দিনক্ষণ ঠিক করার চেষ্টা
সরকারের তরফে বলা হয়, 'এই দফা বৈঠক ইতিবাচক, বাস্তববাদী এবং গঠনমূলক হয়েছে বলে সম্মত দু'পক্ষই। দুই তরফই ফ্রন্টলাইন বাহিনী থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। আলোচনার প্রক্রিয়া খুব ভালো ছিল। দুপক্ষই শান্তি বজায় রাখতে একমত হয়েছে।' ডি-এসকেলেশনের দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করতে খুব শিগগিরই দশম দফার বৈঠকে বসবে দু'দেশের বাহিনী।
পারদ চড়ছে সিকিমেও
এদিকে, সিকিম সীমান্তের নাকু লা সীমান্তে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়ায়। কয়েকদিন আগেই এই ঘটনা ঘটে৷ আগেরবারও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ভারতের দিকে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ৷ এ বারও সিকিমের নাকু লায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে৷ তখনই ভারতীয় সেনা বাধা দেয়৷ এরপর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়৷ এই ঘটনায় ভারতীয় সেনা ও পিএলএ দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছেন৷