লাদাখ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, কথার খেলাপ করেও ফের প্যাংগং নিয়ে প্রতিশ্রুতি বেজিংয়ের
ভারতের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হলেও এখন প্যাংগং ও গোগরা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করছে চিন। এই আবহে ফের কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে চিনের সঙ্গে আলোচনায় বসল ভারত। এমনটাই জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি, একটি স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায় যে প্যাংগং সোতে চিনের সেনা নির্মাণ কাজ করছে। হটস্প্রিং থেকে সরে গেলেও নাছোড়বান্দা চিন এখনও অবস্থান করছে প্যাংগংয়ে। তাই লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা কমার কোনও নাম নেই।
লাদাখে শান্তি ফেরাতে আলোচনা ভারত-চিন
জানা গিয়েছে শুক্রবার দুই পক্ষের কূটনৈতিকরা এই বিষয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে সেই বৈঠকে ভারত-চিন সীমান্ত বরাবর, লাদাখ সেক্টরে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে দু'পক্ষের মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দরকার বলে উভয় দেশই মত প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি উভয়পক্ষই সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাড়তি সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সহমত পোষণ করে। তবে চিনের তরফে এই প্রতিশ্রুতি এর আগেও দেওয়া হয়েছিল। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
কী পরিস্থিতিতে বিতর্কিত প্যংগং
যেই প্যাংগং সো নিয়ে এত বিতর্ক, সেখানে চিনা সেনারা ফিঙ্গার ৫ এ ফিরে এসেছিল, তবে তারা এখনও ফিঙ্গার ৪-এর রিজলাইন দখল করে রয়েছে। চিনা সেনারা ফিঙ্গার ৪ থেকে আঙুলের ৮-এর মধ্যে ৮-কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে তাদের তৈরি কাঠামোগুলিকেই এলএসি বলে দাবি করে যাচ্ছে এখনও।
টহলদারী সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিন বিবাদ
টহলদারী সীমান্ত নিয়ে বরাবরই ভারত ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। ভারত বিশ্বাস করে 'ফিঙ্গার ১' থেকে 'ফিঙ্গার ৮' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের এবং চিন মনে করে যে 'ফিঙ্গার ৮' থেকে 'ফিঙ্গার ৪' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদেরই।
'ফিঙ্গার ৪' এলাকাতেই হয় সংঘর্ষ
১৫ জুন, এই 'ফিঙ্গার ৪' এলাকাতেই উভয় পক্ষের সেনার মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ বাঁধে। পরে উভয় পক্ষের সীমানা যেখানে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্যকে কাঁটাতারের সাথে জড়িত লাঠির মতো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। 'ফিঙ্গার ৪'-এ এই জন্যেই উল্লেখযোগ্য হারে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছিল চিন যাতে ভারতীয় সেনারা আর 'ফিঙ্গার ৮' এর দিক দিয়ে টহল দেওয়ার সুযোগ না পায়।