চিন সীমান্তে পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের অ্যাকশনে ডোকলামে সাফল্য পাওয়া দল
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারকে কেন্দ্র করে একাধিক জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়ের জেরে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে। চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় তৈরি হওয়া সমস্যা সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দুই দেশের তরফেই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পূর্ব লাদাখসহ গালওয়ান নালা এলাকায় এবং প্যাঙগং লেকের উত্তর দিকে অন্তত পাঁচটি এলাকায় প্রায় ১৫০০ চিনা সেনা চোখে চোখ রেখে মুখোমুখি প্রত্যাঘ্যাত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিশেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী সেনা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেনাপ্রধান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সেই বৈঠকে ছিলেন আরও তিনজন। যারা তিন বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন। এরা হলেন জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর।
যে কারণে বিবাদ
গত বছর তৈরি করা ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরি করেছিল ভারত। তা নিয়েই চিনের মূল আপত্তি৷ চিনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷
ডোকলামের সময়ও ভারতের রণনীতি ঠিক করেছিলেন এরা
ডোকলামের সময়ও এরা পুরোভাগে ছিলেন ভারতের রণনীতি ঠিক করার ক্ষেত্রে। জয়শংকর তখন ছিলেন বিদেশ সচিব, রাওয়াত ছিলেন সেনাপ্রধান। লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত ও পরবর্তী সময়তে সেনা বৃদ্ধির বিষয়টি কূটনৈতিক ভাবেই মেটাতে চাইছে ভারত।
এদিকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের
এই পরিস্থিতি দিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যে বিবাদ মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিষয়ে এদিন টুইট করে ট্রাম্প লেখেন, 'আমি ভারত ও চিন উভয়পক্ষকেই জানিয়েছি যে সীমান্তে চলমান বিবাদ নিয়ে মধ্যস্থতা করতে আমেরিকা রাজি রয়েছে।'
অশান্ত লাদাখ
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারের জটিলতার জেরে উভয় দেশই ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে তাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি এবং এর অন্তত সাত দশক পরও সম্পর্কে সেই অস্বস্তি চলছে। এদিকে এরই মধ্যে লাদাখের প্যাঙগং লেক থেকে ২০০ কিমি দূরে গারি গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে চিন।