যে কারণে ভয় পাচ্ছে চিন, এলএসি বরাবর লালফৌজকে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতীয় রাস্তা!
২০১৭ সালের জুনে এক রাস্তা নিয়ে দু'দেশের উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। মেরুগ লা থেকে ডোকলাম থেকে যে সড়ক চিনা সেনা বানাচ্ছিল, তা সব ধরনের আবহাওয়া সইতে পারে। অর্থাৎ, সারা বছরই ডোকলামে সেনার যাতায়াত নিশ্চিত করতে চেয়েছিল বেজিং।
ডোকলাম বিবাদের মূলেও ছিল রাস্তা
ইয়াতুং থেকে জেলেপ লা পর্যন্ত একই ধরনের রাস্তা বানানোর চিনা পরিকল্পনাও তখন সামনে আসে। শুধু তাই নয়, ডোকলামকে কেন্দ্র করে গাড়ি রাখার বন্দোবস্ত, হেলিপ্যাড, বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব, এমন পরিখাও তৈরি করে চিন। এরপরই বাধে বিবাদ।
গালওয়ানে বিবাদের মূলেও রয়েছে রাস্তা
সেই একই ভাবে এবারও গালওয়ানে বিবাদের মূলে রয়েছে রাস্তা। অঞ্চলভিত্তিক অধিকারকে কেন্দ্র করে একাধিক জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়ের জেরে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে। চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় তৈরি হওয়া সমস্যা সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড
গত বছর তৈরি করা ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরি করেছিল ভারত। তা নিয়েই চিনের মূল আপত্তি৷ চিনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷ ভারতের লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে চিন সীমান্ত বরাবর ৬১টি রাস্তা তৈরি করা, যা হলে চিন আর দাদাগিরি করতে পারবে না। গালওয়ান উপত্যকা দখল করলে এই রাস্তা তৈরি যেমন আটকানো যাবে, তেমনই পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে যাবে।
ভারত-চিন সংঘাত
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারের জটিলতার জেরে উভয় দেশই ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে তাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি এবং এর অন্তত সাত দশক পরও সম্পর্কে সেই অস্বস্তি চলছে। আর এরই ফলস্পরূপ গত সোমবার সংঘর্ষ বাধে দুই সেনার মধ্যে।