India-China clash: লাল ফৌজকে পোস্টে কীভাবে ঠেকায় ভারত সেনা? জানলে শিউরে উঠবেন
লোকসভায় ও রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন, অরুণাচল প্রদেশের মাটি যাতে চিনা সেনা দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় বাহিনী। লাল ফৌজকে নিজেদের পোস্টে ফিরে যেতে বাধ্য করেছিল ভারত।
লোকসভায় ও রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন, অরুণাচল প্রদেশের মাটি যাতে চিনা সেনা দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় বাহিনী। লাল ফৌজকে নিজেদের পোস্টে ফিরে যেতে বাধ্য করেছিল ভারত।
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, স্থিতাবস্থা বানচাল করার চেষ্টা করেছিল চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে তারা অরুণাচলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। আর তা নিয়েই উত্তেজনার সূত্রপাত বলেও জানানো হয়েছে।
সাহসের সঙ্গে লড়াই করে
রাজনাথ সিং আরও জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় ভারতের কোনও সেনার মৃত্যু হয়নি বা কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হননি। ঘটনার পরই ভারত যে কূটনৈতিক স্তরে চিনের সঙ্গে কথা বলেছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি সীমান্তে যে কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। রাজনাথ জানিয়েছেন, সাহসের সঙ্গে লড়াই করে চিনকে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত।
চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল।
সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা
বেজিং বলছে, ভারত-চিন সীমান্তে তেমন কিছুই ঘটেনি। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।
তবে রাজনাথের বিবৃতিও শান্ত করতে পারেনি বিরোধীদের। তাঁরা রীতিমতো প্রতিবাদ জানান। কংগ্রেসের দাবি, বিবৃতিই যথেষ্ট নয়। সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা চান তাঁরা। একাধিক দল দাবি করে, সব বিষয়ে আলোচনা থামিয়ে সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হোক।
প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত তথ্য রাজনাথের
কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেন, কংগ্রেস এই ধরনের ইস্যুতে দেশের সঙ্গেই থাকতে চায়, কিন্তু বিজেপিরও উচিত সততার সঙ্গে জবাব দেওয়া। AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, মোদী এই চিন ইস্যু নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। অন্যদিকে রাজনাথ সিং ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে একাধিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। পুরো ঘটনার বিস্তারিত তথ্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী।
ভারত-চিন সংঘাত হয় গালোয়ানে।
২০২০ সালের ১৫ জুন ভারত-চিন সংঘাত হয় গালোয়ানে। সেই ঘটনার পর এবার ফের একই ঘটনা। এবার সংঘাতের ঘটনা ঘটল অরুণাচলের তাওয়াং-এ। ভারত এবং চিন অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের সীমান্ত সংলগ্ন বরাবর বেশ কিছু এলাকা নিজেদের দাবি করে থাকে। সেখানেই চলে দুই পক্ষের টহলদারি।
ভারত চিন সীমান্তে একাধিকবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বারবার ভারত চিনের সেনাস্তরে আলোচনা হলেও আবারও সেই ঘটনা সামনে আসছে।