লাদাখ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা! চিদাম্বরমের টুইটে ফের চিনা দখলদারি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
লাদাখ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে! চিনকে ভুলে একে অপরের সঙ্গে লড়ছে বিজেপি কংগ্রেস। প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে একবার করে রাহুল গান্ধী খোঁচা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। অপর দিকে পাল্টা জবাব ছুঁড়ে দিচ্ছে কংগ্রেসও। এরই মধ্যে ফের সীমান্ত বিবাদ নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়ে দুটি স্যাটেলাইট ম্যাপের ছবি টুইট করলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম।
রাহুল-মোদী তরজা
শুক্রবারই চিন ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে কোনও এলাকা দখল করেছে কিনা, সেই বিষয়ের সত্যতা জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন চিন ভারতের কোনও অংশ দখল করেনি, অথচ স্যাটেলাইট ছবি অন্য চিত্র দেখায়, তবে এক্ষেত্রে চিনের জয় হবে।
লাদাখ ইস্যুতে বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস
এদিকে কংগ্রেসের এই চাপ দেওয়ার নীতির জবাবে বিজেপিও পুরোনো সব ঘটনা তুলে ধরছে। কংগ্রেস জমানায় চিনা আগ্রাসন থেকে শুরু করে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিনা অনুদান, কোনওটাই বাদ পড়েনি এই আক্রমণে। কংগ্রেস ও বিজেপির এই দ্বন্দ্বের মাঝে ক্রমেই চিন সৈন্য বাড়িয়ে যাচ্ছে এলএসি বরাবর। অবশ্য ভারতীয় সেনাও এই আগ্রাসন রুখতে তৎপর।
লাদাখে চিনা আগ্রাসন
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, চিন কী ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে এলাকা দখল করতে সক্ষম হয়েছে? এই জল্পনা ফের উস্কে দিয়ে এদিন একটি টুইট করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। টুইটে দেখা যায় ২২ মে ও ২২ জুনে গালওয়ান উপত্যকার দুটি চিত্র। চিদাম্বরমের অভিযোগ, এই এক মাসে নিশ্চিত ভাবে চিনা সেনা সেখানে ঢুকে পড়ে নিজেদের স্থাপনা তৈরি করেছে।
লাদাখ নিয়ে চিদাম্বরমের দাবি
এরপর বিজেপিকে পাল্টা দিয়ে চিদাম্বরম এদিন বলেন, 'যদি রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন তাদের টাকা ফেরত দেয়, তাহলে কী বিজেপি সরকার চিনা আগ্রাসন আটকে দেবে? বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার অভ্যাস যে তিনি অর্ধ সত্য বলেন। তাঁর এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগের কোনও মূল্য নেই।'