মোদী শাসনে হিন্দুত্ববাদের কুফল! ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ তকমা হারাতে পারে ভারত, রিপোর্টে চাঞ্চল্য
ভারতে বাড়ছে হিন্দুত্ববাদ। বিগত এক দশক ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হিন্দুত্ববাদকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ তকমা এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
ভারতে বাড়ছে হিন্দুত্ববাদ। বিগত এক দশক ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হিন্দুত্ববাদকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ তকমা এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এই জিগির চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ তকমা হারাতে পারে। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট জমা পড়েছে মার্কিন কংগ্রেসে।
সেই রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ভারতের হিন্দুত্বের জিগিড় তোলা হচ্ছে। গত ১০ বছরে এই জিগির উঠেছে দেশে। আর শেষ চার বছরে তা অত্যধিক মাত্রায় বেড়েছে। বলা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ার কুপ্রভাবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা এখন হাঁসফাঁস করছে।
দেশে যে হিন্দুত্ববাদ বেড়ে চলেছে, যা নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহল সরব হয়েছে বারবার, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট মান্যতা পেয়েছে কংগ্রেসে। মার্কিন কংগ্রেসের একটি শাখা কংগ্রেসানাল রিসার্চ সার্ভিস সম্প্রতি 'ইন্ডিয়া : রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইস্যু' শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টে এমনও উল্লেখ করা হয়েছে যে, গো-রক্ষার নামে ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডব চলছে। উল্লেখ করা হয়েছে গণপিটুনিতে মৃত্যুর কথাও।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতেও শুরু আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব! দিলীপ-নিগ্রহে কি তবে দলেরই নেতার দলবল]
রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতে এই বীজ নিহিত হয়েছে বছর দশেক ধরে। বিশেষ করে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপকে ব্যবহার করে এই হিন্দুত্বের জিগির চলছে। মার্কিন কংগ্রেসে এই সংক্রান্ত আলোচনাও হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই প্রসঙ্গে উত্থাপন করেন। সেখানে বিগত কয়েক বছরে কীভাবে উগ্র হিন্দুত্ববাদ বেড়েছে, তা নিয়েও চর্চা হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে' ব্যস্ত দল! বিজেপি ছাড়তে পারেন এই হেভিওয়েট নেতা]
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসে। তারপর থেকে উদ্র হিন্দুত্ববাদ বেশি মাথাচাড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য বিগত চার বছরে একাধিক গণপিটুনি, গো-রক্ষা নামে তাণ্ডব বেড়েছে। কালবুর্গি থেকে গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশ। এখন এই উগ্র হিন্দুত্ববাদই চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে। মোদীর ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে লড়তে হবে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধেও। যা বহু আগে থেকেই ইস্যু করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। আওয়াজ উঠেছে মোদী সরকারের পতনের।
[আরও পডুন: এবার কংগ্রেসে ভাঙন কি জঙ্গলমহলের জেলায়! হেভিওয়েট নেতার পদক্ষেপে জল্পনা]