ভারতও গড়তে পারে স্পেস স্টেশন : ইসরো প্রধান
১০৪ টি কৃত্রিম উপগ্রহকে একসঙ্গে নিয়ে একযোগে পিএসএলভিসি ৩৭ এর সফল উৎক্ষেপণ শুধু নতুন বিশ্ব রেকর্ডই তৈরি করেনি, তা ভারতের মাহাকাশ বিজ্ঞানচর্চার অনন্য নজিরও বটে।
ইন্দোর, ২১ ফেব্রুয়ারি : ১০৪ টি কৃত্রিম উপগ্রহকে একসঙ্গে নিয়ে একযোগে পিএসএলভিসি ৩৭ এর সফল উৎক্ষেপণ শুধু নতুন বিশ্ব রেকর্ডই তৈরি করেনি, তা ভারতের মাহাকাশ বিজ্ঞানচর্চার অনন্য নজিরও বটে। আর এই নজির গডা়র পর, ইসরো স্পোস স্টেশন গড়ার ক্ষমতা রাখে বলেও এবার দাবি করছেন স্বয়ং ইসরো প্রধান।[(ছবি) ইসরোর উপগ্রহ উৎক্ষেপণ নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি তথ্য]
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান এ এস কিরণ কুমার জানিয়েছে, স্পেসস্টেশন বানানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। দেশ যেদিন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সেদিন থেকেই এই প্রকল্পের উদ্যোগ চালু করে দেবে ইসরো। তবে তার জন্য চাই সঠিক নীতি ও অর্থ।[২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে শক্তির যোগানের মূল উৎস হবে চাঁদ]
এর পাশাপাশি ইসরো প্রধান জানিয়েছেন,আমরা এখনও ভাবি স্পেস স্টেশনের থেকে তৎক্ষণাৎ কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে। আর এই ভাবনার জন্যই ভারত এখনও পর্যন্ত স্পেস স্টেশন বানানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারেনি। খুব শিগগিরিই স্পেস স্টেশন গড়ার জন্য একটি সুষ্ঠা ভবিষ্যতদর্শী চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন।[ইসরোর এই ১০টি সাফল্য গর্বিত করেছে গোটা ভারতকে]
তাঁর এই বক্তব্যের পাশপাশি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ এস কিরণ কুমারজানান, ভূমি ও আবহাওয়া বিষয়ে নজর রাখার জন্য আরও অনেককটি কৃত্রিম উপগ্রহের প্রয়োজন । তিনি বলেন, বহু সংস্থাই কৃত্রিম উপগ্রন তৈরির কাজ করে থাকে, এবং তা বিক্রির জন্য সংস্থা গুলি বিভিন্ন দেশে যায়। তবে তারা তা উৎক্ষেপণ করতে পারেনা । তাই এই ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক বাজারে ভারতের অনেক সুযোগ রয়েছে। ওই কৃত্রিম উপগ্রহ গুলিকে উৎক্ষেপণের সঠিক জায়গা করে দিতে পারলে, তাতে আখেরে লাভ হবে ভারতেরই।