লাদাখে বাড়ছে বারুদের গন্ধ, আমেরিকার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনছে ভারত
লাদাখে বাড়ছে বারুদের গন্ধ, আমেরিকার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনছে ভারত
নভেম্বরে লাদাখে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এই জল্পনা আগে থেকেই চলছে। এবার সেই জল্পনায় পারদ চড়াল আমেরিকার কাছ থেকে ভারতের সামরিক সরঞ্জাম কেনা। পাহাড়ি এলাকায় ব্যবহার করা যায় এমন সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকার কাছ থেকে কিনছে ভারত।তাতেই জল্পনা আরও বেড়েছে। যুদ্ধে ব্যবহৃত গাড়ির জ্বালানি, রণতরী ও যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম আমেরিকার কাছ থেকে কিনতে শুরু করেছে ভারত।
লাদাখে কী যুদ্ধের প্রস্তুতি
গালওয়ান সংঘর্ষের পরে যে চিনের সঙ্গে যে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দফায় দফায় আলোচনাতেও তাই মিলছে না কোনও সমাধান সূত্র। এদিকে আবার শীতে লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নভেম্বরে লাদাখে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সামরিক সরঞ্জাম কিনছে ভারত
ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে প্রথম থেকেই একটু বেশি তৎপর আমেরিকা। লাদাখ সীমান্তে যে চিনা ফৌজ বাড়তে শুরু করেছে তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়। তারপরেই ভারত আমেরিকার কাছ থেকে একের পর এক সামরিক সরঞ্জাম কিনতে শুরু করেছে। উচ্চতম এলাকায় চরম ঠান্ডার মধ্যে যেসব সামরিক সরঞ্জাম সচল থাকে সেগুলি কিনতে শুরু করেছে ভারত। রণতরী ও যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ আমেরিকার কাছ থেকে কিনতে শুরু করেছে ভারত। যুদ্ধে ব্যবহৃত সামরিক শকটের জ্বালানিও মজুত করতে শুরু করেছে ভারত।
ট্যাঙ্ক ও সেনা মোতায়েন
লাদাখে ইতিমধ্যেই উচ্চতম এলাকায় স্বচ্ছন্দ ট্যাঙ্কার লাদাখে মোতায়েন করেছে ভারত। বাড়ানো হয়েছে সেনাও। এমনকী শীতে সেনাবাহিনীর বসবাসের উপযুক্ত সরঞ্জামও লাদাখে পাঠানো হয়েছে। চমর ঠান্ডার মধ্যে সেনাবাহিনী যাতে স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারে তার সবরকম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে লাদাখে। খাবার থেকে শুরু করে শীত বর্স্ত সবই মজুত করা হয়েছে সেখানে।
দফায় দফায় আলোচনা
লাদাখ নিয়ে দফায় দফায় চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে ভারতের। সাতটি সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গিয়েছে চিনের সঙ্গে। কিন্তু কোনওটাতেই সমাধান সূত্র বেরোয়নি। চিন কিছুতেই গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং সো হ্রদের তীর থেকে সেনা সরাতে রাজি নয়। এই নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।