চিনা ড্রাগনের চোখ রাঙানির পাল্টা জাবাব, লাদাখ সীমান্তে রাস্তা-ব্রিজের নেটওয়ার্ক গড়ছে দিল্লি
ভারত-চিন সীমান্তে কোনও ভাবেই শান্তি ফেরার ইঙ্গিত নেই। এহেন পরিস্থিতিতেই চিন একটি বিবৃতি পেশ করে দাবি করেন যে তারা লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে মানতে নারাজ। পাশাপাশি লাদাখ সীমান্তে ভারতের রাস্তা বা পরিকাঠামোগত নির্মাণের উপরও আপত্তি জানায়। তবে তাতে ভারত যে থমকে থাকবে না, তা বলাই বাহু্ল্য।

সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই লাদাখ জুড়ে রাস্তা নির্মাণ
গত প্রায় ৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই লাদাখ জুড়ে এবার রাস্তার নেটওয়ার্ক তৈরির বিষয়টি নিয়ে আরও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটে কেন্দ্র। ভারতের স্ট্র্যাটেজি প্রথম থেকেই একই ছিল। চিন নিজের মতো পদক্ষেপ নিলেও, ভারত নিজের নীতিতেই লাদাখ সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের কাজে অবিচল থাকবে।

গালওয়ান সংঘর্ষের মূল কারণ
লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনার আবহেও গালওয়ান নদীর ওপর দিয়ে ভারত ব্রিজ নির্মাণ করেছে। ৬০ মিটারের দীর্ঘ এই ব্রিজ নিয়ে পিএলএ বাধা দিতে শুরু করে ভারতকে। বেজিং দাবি করে এলাকা তাদের। আর পাল্টা জবাবে ভারত তা কিছুতেই মেনে নিতে চাইনি। এরপর সংঘাত। ১৫ জুন সেই সংঘাত রক্তক্ষয়ী রূপ নেয়। তবে ভারত কিন্তু সেই ব্রিজ তৈরি করে তবেই থেমেছে।

পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধের দাবি চিনের
চিনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷ পাল্টা ভারত সরকারের তরফে বেজিংয়ের কাছে দাবি করা হয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হয়৷ তবে চিন ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়ানোর পথেই হেঁটেছে বরাবর।

চিনের আপত্তি সত্ত্বেও এগিয়ে চলেছে ভারত
ভারতের দিকে গত বছর তৈরি করা ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরি করা নিয়েই চিন প্রথমে আপত্তি শুরু করেছিল। এই রাস্তাটি তৈরির ফলে সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যাতায়াত এবং নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধে হয়েছে৷ তবে পরপর সংঘর্ষ ও চিনের আপত্তি সত্ত্বেও ভারত লাদাখ জুড়ে রাস্তা তৈরির কাজ জারি রাখবে।

সব বিবাদের যেরেই নির্মাণকাজ
প্যাংগং সো, ডেমচক, গালওয়ান উপত্যকা এবং দৌলতবেগ ওলডিতে ভারতীয় ও চিনা সেনা মুখোমুখি বাদানুবাদে জড়িয়েছে৷ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বিবাদ শুরু হয়েছিল নির্মাণ কাজকে ঘিরেই। কারণ সীমান্ত যোগাযোগের দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে দিল্লি। এরই মাঝে ১০ হাজার ফিট উচ্চতায় মানালি থেকে লেহ-এর মাঝে অটল টানেল ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
মুখ বাঁচাতেই পুলিশকে নির্দেশ যোগীর? মাঝরাতে হাথরাসের নির্যাতিতার শেষকৃত্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন