ইউনিকর্ন কোম্পানির সংখ্যায় ইংল্যান্ডকে ছাপিয়ে বিশ্বে তৃতীয় ভারত
ইউনিকর্ন কোম্পানির সংখ্যায় ইংল্যান্ডকে ছাড়িয়ে বিশ্বে তৃতীয় ভারত
স্টার্টআপ তৈরিতে ভারত বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এল। ৫৪টি ইউনিকর্ন কোম্পানি নিয়ে ইংল্যান্ডকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত৷ সম্প্রতি হুরন ইন্ডিয়ার একটি নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখায় যে বেঙ্গালুরুতে, বোস্টন, পালো অল্টো, প্যারিস, বার্লিন, শিকাগোর মতো শহরগুলির তুলনায় আরও বেশি সংখ্যায় ইউনিকর্ন স্টার্টআপ রয়েছে।
কী এই ইউনিকর্ন স্টার্টআপ?
যে কোনো স্টার্ট-আপের মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি হলে তাকে ইউনিকর্ন বলা হয়। হুরন ইন্ডিয়ার এমডি এবং প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনায়েদ বলেছেন, ভারত একটি স্টার্ট-আপ সম্ভাবনার মধ্যে গগনে রয়েছে। সরকারিভাবে স্বীকৃত দেশের ইউনিকর্নের সংখ্যা ৫৪ নিয়ে যাওয়ার জন্য তার শেষ কয়েকবছরে দেশের ইউনিকর্ন কোম্পানির সংখ্যা দ্বিগুণের চেয়েও বাড়িয়েছে। এবং ইংল্যান্ডকেও ছাড়িয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। রহমান বলেন, যদিও ভারতীয়দের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ৬৫ টি ইউনিকর্নের মধ্যে বেশিরভাগই সিলিকন ভ্যালিতে ছিল, কিন্তু সেগুলি গত বছরের ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এটিই ইঙ্গিত করে যে ভারতে স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম পরিপক্ক হচ্ছে।
আরও কী বলা হয়েছে প্রতিবেদনে?
প্রতিবেদনটি আরও বলা হয়েছে যে ই-কমার্সে ১২২টি বৈশ্বিক ইউনিকর্নের মধ্যে ১৫টি ভারতে অবস্থিত, যা চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে তৃতীয় বৃহত্তম৷ মার্কিন মূলুকে ৪২ টি এবং চিমে ২৮টি ইউনিকর্ন কোম্পানি রয়েছে। হুরন রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের ৪২টি দেশের ২২১টি শহরে ১০৫৮টি ইউনিকর্ন রয়েছে এবং এই ইউনিকর্ন কোম্পানিগুলির গড় বয়স প্রায় আট বছর, মোটামুটি ২০১৩ সালের শুরু থেকে এগুলির পথ চলা শুরু।
কী বলছেন হুরন রিপোর্টের গবেষক?
হুরন
রিপোর্টের
চেয়ারম্যান
এবং
প্রধান
গবেষক
রুপার্ট
হুগেওয়ার্ফ
বলেছেন,
২০২১
আনুষ্ঠানিকভাবে
স্টার্ট
আপের
জন্য
সবচেয়ে
সফল
বছর।
বর্তমানে
১০০০
টিরও
বেশি
পরিচিত
ইউনিকর্ন
রয়েছে,
যা
গত
বছরের
তুলনায়
কার্যত
দ্বিগুণ,
মূলত
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র
রয়েছে
এই
সংখ্যায়
ইউনিকর্নের
বৃদ্ধির
পিছনে।
প্রতিবেদনটি
আরও
তথ্য
তুলে
ধরে
যে
বেশিরভাগ
ইউনিকর্ন,
(
প্রায়
৮১
শতাংশ)
আইটি
ব্যবসায়
রয়েছে,
এই
কোম্পানিগুলি
বিশেষ
করে
সফ্টওয়্যার
এবং
পরিষেবা
বিক্রি
করে।
বাকিরা
ভৌত
পণ্য
বিক্রির
ব্যবসার
সঙ্গে
জড়িত।
এর
মধ্যে
অর্ধেকেরও
বেশি
সরাসরি
গ্রাহকদের
সাথে
লেনদেন
করে।
হুরন
রিপোর্টে
আরও
বলা
হয়েছে
যে
বিশ্বের
সমস্ত
ইউনিকর্নের
মোট
মূল্য
দাঁড়ায়
৩.৭
ট্রিলিয়ন
ডলার,
যা
জার্মানির
জিডিপির
সমতুল্য।