৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছনোর আগেই ১০ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির স্বপ্ন দেখাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার
দেশের অর্থনীতির যাকে বলে হাঁড়ির হাল দশা। ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছনোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে আবার নতুন করে ১০ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন ২০৩০ সােলর মধ্যে দেশকে ১০ ট্রিলিয়ন অর্থনীতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

রাজনাথের দাবি
মোদী দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট রেখেছে ২০২৫ সাল। তার থেকে এক ধাপ উঠে রাজনাথ সিং ঘোষণা করেছেন ২০৩০-৩২ সালের মধ্যে দেশ ১০ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে যাবে। এবং দেশকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সবচেয়ে বেশি অবদান থাকবে বলে দাবি করেছেন রাজনাথ সিং। তিনি দাবি করেছেন মোদী সরকার দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে ২০২৫ সালের মধ্যে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মোদীর প্রতিশ্রুতি
দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর মোদীর প্রথম প্রতিশ্রুতিই ছিল ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু মোদীর শাসনের ১০০ দিনে ঠিক তার উল্টো স্রোত বইতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীিত ক্রমশ অধঃপতনে যাচ্ছে। শেয়ার বাজারে ধস, টাকার দামের পতন। জিডিপিতে মন্দা, মাত্রাহীন মূদ্রাস্ফীতি। সব মিলিয়ে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ।

আর্থিক মন্দায় জর্জরিত দেশ
বিনিয়োগ প্রায় আসছে না বললেই ভাল। উৎপাদন শীলতােতও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গাড়ির বাজারে প্রবল মন্দা দেখা দিয়েছে। নির্মাণ শিল্পের হাল ফেরা ১০,০০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। রফতানি বাণিজ্যে একাধিক নীতি শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে না। শেয়ার বাজার চাঙ্গা করতে হিমসিম খাচ্ছে সরকার।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মোদীর মন্ত্রীদের একের পর এক উচ্চাশার বাণী ভিত্তিহীন বলেই মনে করবেন দেশবাসী। আপাতত ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ পৌঁছক। তারপরে না হয় ১০ ট্রিলিয়নের কথা ভাবা যাবে।
[ ২০২১-এর লক্ষ্যে বিজেপি এবার ধরেছে মেঠো সুর! বাঙালির মন জয় হাতিয়ার লোকগান]
[ পাকিস্তানি সেনা কমান্ডোদের কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা! ভারতের চূড়ান্ত জবাব, ভিডিও প্রকাশ্যে]