চিনের পদক্ষেপে অশনি সংকেত দেখছে ভারত, চিকেন নেক রক্ষায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি সেনার
চিন সীমান্তে একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে, যা মোটেও ভালো চোখে দেখছে না ভারত। সেখানে নির্মাণের পর নির্মাণ কার্য করে চলেছে তারা।
ফের ভারত আর চিনের সংঘাত লাগতে পারে। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা করা হয়েছে ভারতের তরফে। সীমান্তে চিনের কিছু কাজে ভারত অশনি সংকেত দেখছে। ২০২০ সালের গালওয়ানের সংঘর্ষের সময় থেকেই চিনের ভূমিকা ভালো ঠেকছে না ভারতের!
সম্প্রতি চিনের কর্মকাণ্ড ঘিরে নয়া রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেই রিপোর্টকে ঘিরেই আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে। ভারত ও চিন দুই দেশের মধ্যে নতুন এক সমীকরণ তৈরি হয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে নানা সমস্যা। লাদাখের চিনা আগ্রাসের পর অরুণাচলেও সে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে চিন, তা সংঘাতপূর্ণ বলেই মনে করছে ভারত।
পরিস্থিতি এমনই যে যে কোনও মূহূর্তে চিনের সঙ্গে লাগতে পারে সংঘাত। চিন সীমান্তে একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে, যা মোটেও ভালো চোখে দেখছে না ভারত। সেখানে নির্মাণের পর নির্মাণ কার্য করে চলেছে তারা। ২০২৩-এর জানুয়ারির ২০ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে ভারতের হাতে উঠে আসে গোপন তথ্য।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের গালওয়ান যুদ্ধের সময় থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে নামতে থাকে। চিনের সেনা তখন গালওয়ানে অতর্কিতে হামলা করেছিল। তার পাল্টা মোক্ষম জবাব দিয়েছিল ভারত। বহু সেনা শহিদ হয়েছিলেন ঠিকই, ভারত কিন্তু তাতে ছেড়ে কথা বলেনি। তারপর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈচিক পর্যায়ে নানা আলাপ-আলোচনা হলেও স্থায়ী সমাধানে এখনও পৌঁছতে পারেনি তারা।
সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাপাদাপি আদৌ সন্তুষ্ট নয় ভারত। ভারত সরকার তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইতিমধ্যে একাধিকবার তুলে ধরেছে। তবে লাদাখ পরিস্থিতির মাধে গোগরা ও প্যাংগং নিয়ে আলোচনায় দুই দেশ সাফল্যের পথে এগিয়েছে। কিন্তু তা যথার্থ নয় বলে মনে করছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।
ডিসেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশে দুই দেশের মঘ্যে নতুন করে সংঘাত দেখা যায়, চিনের সেনা ভারতের অন্দরে ঢুকে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। একেবারে লাদাখের মতো পরিস্থিতি তৈরি হল ভারতও যোগ্য জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে চিকেন নেক রক্ষা করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর উন্নত করার ব্যাপারে কতটা অগ্রণী তা কলকাতায় এক প্রেস কনফারেন্সে জানা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সেনা কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতা। ভারতীয় সেনাবাহিনী চিনকে নিয়ে সচেতন বলে জানান তিনি। উত্তর-পূর্ব ভারতে সংযোগের জন্য শিলিগুড়ি করিডরে তাঁরা সেনা নিরাপত্তা অনেক বাড়িয়েছে।