১০০ ঘণ্টার মাথায় জঙ্গি নিকেশ,১২ দিন বাদে পাক মাটিতে হামলা! পুলওয়ামাকাণ্ডে যেভাবে জবাব দিল ভারত
৪০ টি কফিনবন্দি দেহ পৌঁছেছিল দেশের ৪০টি ভিন্ন জায়গায়। দেশের জন্য ঘরের ছেলের আত্মবলিদানে যতটা গর্ব ছিল মায়ের ততটাই আর্তনাদ উঠে এসেছিল ছেলের নিথর দেহটি দেখে।
৪০ টি কফিনবন্দি দেহ পৌঁছেছিল দেশের ৪০টি ভিন্ন জায়গায়। দেশের জন্য ঘরের ছেলের আত্মবলিদানে যতটা গর্ব ছিল মায়ের ততটাই আর্তনাদ উঠে এসেছিল ছেলের নিথর দেহটি দেখে। পুলওয়ামায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের শহিদ হওয়ার ঘটনার পর এই দৃশ্য দেখেছিল ১৩০ কোটির দেশ ভারত। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন দেশবাসীর মনের মধ্যে যে আগুন জ্বলছে,তার আঁচ তিনি পেয়েছেন, ফলে সেনাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তারপরই 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২.০' -র দম দেখিয়ে দায় ভারত।
১০০ ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গি নিকেশ
পুলওয়ামা
কাণ্ডের
পর
ঘটনার
দায়
স্বীকার
করে
পাক
জঙ্গি
সংগঠন
জইশ-ই-মহম্মদ।
জানা
যায়,
জইশ
জঙ্গি
আদিল
দার
এই
আত্মঘাতী
হামলার
নেপথ্যে
ছিল।
উঠে
আসে
জইশ
কমান্ডার
কামরান
গাজির
নাম।
ঘটনার
পরই
কাশ্মীর
জুড়ে
তল্লাশিতে
নেমে
যায়
এনআইএ,
এনএসজি।
ঘটনার
১০০
ঘণ্টার
মধ্যে
খুঁজে
পাওয়া
যায়
জঙ্গিদের
।
চলে এনকাউন্টার
পুলওয়ামায় যেখানে সিআরপিএফ জওয়ানদের হত্যালীলা চালিয়েছিল জইশ, সেখান থেকেই কয়েক কিলোমিটারের মাথায় ডেরা বানিয়েছিল জইশ কামান্ডার কামরান গাজি। এই নৃশংস ঘটনার ছক যার মস্তিষ্ক প্রসূত। তার খোঁজ পেতেই ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোররাত থেকে এনকাউন্টার চালায় ভারতীয় সেনা । পুলওয়ামার ১০০ ঘণ্টার মধ্যে নিকেশ করা হয় গাজি সহ জঙ্গি হিলাল আহমেদকে।
বৈঠক অজিত ডোভালের
দেশের একাধিক জরুরীকালীন সময়ে তিনি ছিলেন ত্রাতা!এমন দাবি অনেকেই করেন। পুলওয়ামার ঘটনার পরও তাই দেশ তাকিয়ে ছিল জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভালের দিকে। আর শোনা যায়, পুলওয়ামার ঘটনার পরই সন্ধ্যের মধ্যে রাজনাথ সিং ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অজিত ডোভাল। একাধিকবার চলে বৈঠক।
মোদীর ঘোষণা
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরই পাকিস্তান থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে ডেকে পাঠানো হয় ভারতের। তাঁর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সদর্পে ঘোষণা করেন পুলওয়ামা কাণ্ডের জবাব দেবে ভারত। সেনাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে।
১২ দিনের মাথায় জবাব
১৪ ফেব্রুয়ারির অভিশপ্ত দুপুরের প্রতিশোধ ২৫ ফেব্রুয়ারির ভোররাতে! গভীর রাতে ৩:৩০ মিনিট নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি 'মিরাজ ২০০' যুদ্ধবিমান পাকিস্তানে ঢুকে ১০০০ কিলোর বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসে। যার ফলে ধ্বংস হয়ে যা পাকিস্তানের মুজাফরাবাদ,বালাকোট, চাকোটার জঙ্গি লঞ্চ প্যাড।