ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মধুর করে তুলছে চিন! বেজিংকে মাত দিতে নয়া ছক দিল্লি-ওয়াশিংটনের
আমেরিকা ও ভারত উভয় দেশকেই সমান ভাবে ভোগাচ্ছে চিন। শত্রুর শত্রু হবে যায় বন্ধু, এই নীতি মেনে এই সময়ে আরও ঘটনিষ্ঠ হয়েছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। এবার সেই সম্পর্ক আরও সুদ্ঢ় করে একে অপরকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল দুই দেশই। এই বিষয়ে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।

একাধিকবার মাইক পম্পেওর সঙ্গে আলোচনা জয়শঙ্করের
জানা গিয়েছে ভারত-মার্কিন এই সম্পর্ক মধুর করতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিকবার ফোনে আলোচনা করেছেন পম্পেও এবং জয়শঙ্কর। এছাড়াও লাদাখ ইস্যুতে ফোনে কথা বলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট সি ও'ব্রায়েন। এমনকি সিডিএস বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন আমেরিকার শীর্ষ সেনা কমান্ডর জেনারেল মার্ক মাইলি।

ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে সতর্কবার্তা আমেরিকার
এই আবহেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে ফের একবার সতর্কবার্তা দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই বিষয়ে মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার বলেন ভারত চিন সীমান্তে চলা প্রতিটি ঘটনায় কড়া নজর রেখেছে আমেরিকা। এসপার জানান ভারত ও চিনের মধ্যে যে ঘটনাপ্রবাহ চলছে, তাতে নজর রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করছে আমেরিকা।

ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি চিনের
এদিন চিনকে তোপ দেগে মার্ক এসপার বলেন, চিনা সেনার গতিবিধি ও কার্যকলাপ ভারত সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তবে দুদেশের মধ্যে আলোচনার বাতাবরণ এখনও রয়েছে দেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট বলে জানান প্রতিরক্ষা সচিব।

কী পরিস্থিতি গালওয়ানে?
গালওয়ান সংঘর্ষের পর কেটে গেছে এগারো সপ্তাহ। সাম্প্রতিক ঘটনা অনুযায়ী, লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে দু'দেশের তরফে। গালওয়ান থেকে সেনা সরাচ্ছে চিন। এই পরিস্থিতিতে গালওয়ান সংঘর্ষের ঠিক এক মাস পর লাদাখ সফরে যান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে সেখানে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীও।

চিনের উপর ভারতের নজরদারি
চিনের সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ভারত। কোনও ভাবে যদি চিন সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে ভারতও থমকে যাবে। সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি যাতে কোনও ভাবে লঙ্ঘন না করা হয় সেদিকে নজর রাখছে ভারতীয় সেনা। এর জন্য দিনের পাশাপাশি রাতেও বায়ুসেনার বিমান ও হেলিকপ্টর টহল দিচ্ছে লাদাখের সীমান্ত জুড়ে।

লাদাখএর ফিঙ্গার এলাকায় চরম উত্তেজনা
টহলদারী সীমান্ত নিয়ে বরাবরই ভারত ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। ভারত বিশ্বাস করে 'ফিঙ্গার ১' থেকে 'ফিঙ্গার ৮' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের এবং চিন মনে করে যে 'ফিঙ্গার ৮' থেকে 'ফিঙ্গার ৪' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদেরই। ১৫ জুন, এই 'ফিঙ্গার ৪' এলাকাতেই উভয় পক্ষের সেনার মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ বাঁধে। পরে উভয় পক্ষের সীমানা যেখানে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্যকে কাঁটাতারের সাথে জড়িত লাঠির মতো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। 'ফিঙ্গার ৪'-এ এই জন্যেই উল্লেখযোগ্য হারে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছিল চিন যাতে ভারতীয় সেনারা আর 'ফিঙ্গার ৮' এর দিক দিয়ে টহল দেওয়ার সুযোগ না পায়।
কুলভূষণ মামলায় বারংবার ICJ-র রায় অমান্য পাকিস্তানের! একবছর ধরেই চলছে ইসলামাবাদের ছেলেখেলা