আর সেনা মোতায়েন নয় লাদাখে, ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে চাইছে ভারত-চিন উভয়ই
ভারত-চিন দুই দেশেই পূর্ব লাদাখের ফ্রন্টলাইনে সেনা পাঠানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার কর্পাস কমান্ডার পর্যায়ের ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনার পরে উভয় পক্ষ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
ভারত-চিন দুই দেশেই পূর্ব লাদাখের ফ্রন্টলাইনে সেনা পাঠানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার কর্পাস কমান্ডার পর্যায়ের ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনার পরে উভয় পক্ষ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলবে।
একইসঙ্গে দুই দেশের তরফে জানানো হয়েছে, এ মাসের শুরুতে মস্কোতে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ওয়াং ইয়ের মধ্যে পাঁচ দফা চুক্তি হয়। সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করার ব্যাপারেও সম্মতিসূচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২১ সেপ্টেম্বর ভারত ও চিনা সিনিয়র কমান্ডাররা সিদ্ধান্ত নেন এই ঐকমত্যকে আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়িত করার।
দুই দেশই ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আর সেনা পাঠাবে না সীমান্ত। একতরফাভাবে স্থলভাগের পরিস্থিতি পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকবে দুই দেশ এবং পরিস্থিতি জটিল করতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে তারা বিরত থাকবে। এ ব্যাপারে ভারত ও চিনের কম্যান্ডাররা একমত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত ও চিনও লাদাখের সীমান্ত মুখোমুখি সমাধানের জন্য শীঘ্রই কর্পস কমান্ডার-স্তরের আলোচনার সপ্তম দফা বৈঠক করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "উভয় পক্ষই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সামরিক কমান্ডার-স্তরের বৈঠকের আয়োজন করবে।
উল্লেখ্য, চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে জানান, ঠান্ডা যুদ্ধ বা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কোনও ইচ্ছা নেই বেজিংয়ের। শি জিনপিং বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে মতবিরোধ ঘোচাতে বা বিরোধের সমাধান করতেই পছন্দ করি। আমরা কেবল নিজেদের বিকাশের চেষ্টা করি না।